সৌদিতে ফেসবুক-টুইটারের অনুমতি দিয়ে ফতোয়া
নতুন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে সৌদি আরবের মানুষ ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে। দেশটির ধর্মীয় পর্ষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য শেখ আবদুল্লাহ আল-আমিন এ অনুমতি দিয়ে ফতোয়া দিয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আরব নিউজ আজ বুধবার এ কথা জানিয়েছে।
বাদশাহ সালমানই সৌদি আরবের প্রথম শাসক, যার টুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
গত বছর সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ টুইটারকে ‘সকল মিথ্যা ও পাপের উৎস’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটির একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ‘ফতোয়া’ নামের অনুষ্ঠানে গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, ‘এটার সঠিক ব্যবহার হলে তা মঙ্গলজনক হতো, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হচ্ছে না। মানুষ এটিকে সত্যের উৎস বলে ধরে নিলেও সেখান থেকে প্রচুর বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।’
এ ঘটনার মাত্র তিন মাসের মাথায় বাদশাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে টুইটার ব্যবহারের ফতোয়া দিল সৌদি আরবের ধর্মীয় পর্ষদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষজ্ঞ সাঈদ জাদাল্লাহ আরব নিউজকে জানান, গত দুদিন এক মিলিয়নেরও বেশি সৌদি নাগরিক টুইটারে নতুন বাদশাহ সালমানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বাদশা আবদুল্লাহর মৃত্যুতে গত তিন দিনে একই মাধ্যমে এক মিলিয়ন শোকবার্তা এসেছে।
সাঈদ জাদাল্লাহ আরো জানান, সৌদির নাগরিকরা সাম্প্রতিক উন্নয়ন এবং তাঁদের আগ্রহের কথা জানিয়ে নতুন বাদশাহর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন। সেই সঙ্গে নতুন নেতৃত্বকে সহায়তা প্রদানের কথাও জানান তাঁরা।
রাজ্যে দুই মিলিয়নের বেশি টুইটার ব্যবহারকারী আছেন, যা আরব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আরব দেশগুলোতে মোট টুইটার ব্যবহারকারীদের ৪৫ ভাগই সৌদি নাগরিক বলেও জানান জাদাল্লাহ ।