আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন ও জঙ্গিবাদ
শিল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট জি-৭ সম্মেলনে শীর্ষ বিষয় হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন ও জঙ্গিবাদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ সোমবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে রাষ্ট্রনেতারা এ দুটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। জার্মানির আল্পস অংশের ক্রুয়েন অঞ্চলের শ্লস এলমো হোটেলে গতকাল রোববার থেকে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
সম্মেলন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি ও জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধানরা একত্র হয়েছেন।
আলোচনায় জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বৈশ্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধি সীমিত রাখতে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি জি-৭ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একটি ফান্ডে অর্থ জমার কথা বলেন, যেখান থেকে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
জি ৭-এর আজকের অধিবেশনে নাইজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও ইরাকের জঙ্গিবাদ নিয়ে আলোচনা হয়।
সোমবারের প্রথম অধিবেশনে জি-৭ আলোচনায় প্রধান বিষয় ছিল জলবায়ু ও শক্তি। এই আলোচনায় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি হ্রাসের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রস্তাব করেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। চলতি বছর ডিসেম্বরে প্যারিসে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই মেরকেল জি ৭-এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চান।
পরে জি ৭-এর আলোচনায় যোগ দেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি ও তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি সাইদ এসেবসি। এই পর্যায়ের আলোচনায় দেশগুলোতে আইএস ও বোকো হারাম জঙ্গিদের কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট হুমকির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
এর আগে রোববার জি-৭ আলোচনায় যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ক্যামেরন দেশটির ১২৫ সেনাকে ইরাকে পাঠানোর ঘোষণা দেন। এই সেনাসদস্যরা ইরাকের সেনাবাহিনীকে আইএসবিরোধী যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেবেন।