মার্স আতঙ্কে দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
মার্স ভাইরাস ছড়ানোর ভয়ে দুই হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এরই মধ্যে দেশটিতে মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি জানায়, সোমবার নতুন করে আরো ২৩ জন মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে ১৭ জনকে সিউলের দক্ষিণাঞ্চলের স্যামসাং মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বৃদ্ধ এবং শিশুর সংখ্যাই বেশি।
মিডলইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রমের সংক্ষিপ্ত রূপ হলো মার্স। সারা পৃথিবীতে মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এক হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। সৌদি আরবে এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। মার্স ভাইরাসের কারণে জ্বর, শাসকষ্টের সমস্যা, নিউমোনিয়াসহ কিডনি বিকল হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা বা টিকা আবিষ্কৃত হয়নি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল চারজন। আজ সোমবার এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৮৭ তে। এই ভাইরাসের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে আসা প্রায় দুই হাজার ৩০০ জনকে আলাদা করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
মার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির রাজধানী সিউল ও পার্শ্ববর্তী জিয়ংজি প্রদেশে স্কুল ও কলেজসহ প্রায় দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। সৌদি আরব ছাড়াও এর উপস্থিতি দেখা গেছে ওমান, আরব আমিরাত, মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কটি দেশে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, উট থেকে মানবদেহে এই ভাইরাস এসেছে। এ ছাড়া সৌদি আরবে বাদুড়ের রক্তেও পাওয়া গেছে এই ভাইরাস। হাঁচি,কাশি এমনকি স্পর্শ থেকেও মানুষ থেকে মানুষে এ ভাইরাস ছড়ায়।