সৌদির কাছে দ্বীপ বিক্রির ভাবনা মালদ্বীপের, উদ্বিগ্ন ভারত
নিজেদের একটি দ্বীপ বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। সে ক্ষেত্রে তা কিনে নিতে পারে সৌদি আরব!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে হুমকির মুখের পড়বে ভারতের নিরাপত্তা। দ্বীপটি সৌদি আরবের কাছে দেওয়া হলে ওয়াহাবি আন্দোলনের বিস্তৃতি ঘটবে বলে আশঙ্কা করছে দেশটি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রগ্রেসিভ পার্টির নেতা আবদুল্লাহ ইয়ামিনের সরকার একটি অ্যাটল দ্বীপ বিক্রির জন্য ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছে।
অ্যাটল বিশেষ ধরনের দ্বীপ, যার অভ্যন্তরে হৃদ থাকে। আর চারিদিকে থাকে স্থলভাগ।
বিরোধী দল মালদ্বিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) এক নেতা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান, মালদ্বীপে ২৬টি অ্যাটল দ্বীপ আছে। তার মধ্যে ফাফু নামে দ্বীপটি সৌদি আরবের কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা আছে ইয়ামিন সরকারের। মালদ্বিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। তিনি এখন লন্ডনে নির্বাসিত জীবন-যাপন করছেন। অন্যদিকে আবদুল্লাহ ইয়ামিন হচ্ছেন দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমের ভাই।
সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ শিগগির মালদ্বীপ সফরে আসছেন। এমডিপির নেতা ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ নাসিম জানান, এ ব্যাপারে দেশের মানুষের মতের তোয়াক্কাই করবে না সরকার।
দেশটির সরকার ২০১৫ সালে সংবিধান সংশোধন করে বিদেশিদের কাছে দ্বীপ বিক্রির অনুমোদন দেয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চায় না ভারত। নিকট প্রতিবেশীদের মধ্যে একমাত্র মালদ্বীপেই যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সামনেই দেশটির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ গত মাসে জানান, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ভারতেরও দায়িত্ব আছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির মুখপাত্র এম জি আকবর সম্প্রতি মালে সফর করেছেন। তিনি জানান, ‘স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় মালদ্বীপ’ গড়তে ভারতের সমর্থন থাকবে।
তবে মালয়েশিয়ার বর্তমান সরকার সৌদি সরকারের খুব ঘনিষ্ঠ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এমডিপির নেতা বলেন, ‘সৌদি আরব প্রতিবছর ৩০০ শিক্ষার্থীকে বৃক্তি দেয়।
দেশটির ৭০ শতাংশ মানুষ ওয়াহাবি পন্থা অনুসরণ করছে। ইয়ামিন সরকারের পরিকল্পনা আছে সৌদি থেকে দেশে শিক্ষক আনার। এসব পরিকল্পনা স্কুলগুলোকে মাদ্রাসায় পরিণত করবে।’