জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র
জাপান সাগরের দিকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে তিনটি জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পড়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার ও সোমবার ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয় বলে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষে থেকে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া ও চীনের সীমান্তবর্তী টংচ্যাং-রি অঞ্চল থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়। তবে সেগুলো কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকে ‘হুমকির নতুন মাত্রা’ বলে উল্লেখ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জাপানের সাগরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি শনাক্ত করতে পেরেছে তারা। তবে এটি উত্তর আমেরিকার জন্য কোনো হুমকি বয়ে আনবে না।
এর আগে গত শুক্রবার উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এক যৌথ সেনামহড়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই হুমকি দেওয়া হয় উত্তরের পক্ষ থেকে।
এর আগে গত মাসে পিয়ংগান প্রদেশে অবস্থিত বাংগিয়ন বিমানঘাঁটি থেকে জাপান সাগরের দিকে পরীক্ষামূলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেটিই ছিল দেশটির প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন জানান, খুব তাড়াতাড়ি পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছেন তাঁরা।
গত বছর বেশ কয়েকবার পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায় উত্তর কোরিয়া। দেশটির একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও আক্রমণাত্মক বিবৃতি ওই অঞ্চলে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে মনে করেন কিছু বিশ্লেষক।
পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে ২০০৬ সাল থেকেই উত্তর কোরিয়ার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ।