রোহিঙ্গাদের সরানোর পরিকল্পনায় ইউএনএইচসিআরের উদ্বেগ
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশনস হাইকমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর)। যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-এর এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার গত মাসে প্রায় ৩২ হাজার নথিভুক্ত রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের এ সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ উপকূলীয় এলাকায় পর্যটক আকর্ষণ। কিন্তু বিপুলসংখ্যক মানুষের এ স্থানান্তরের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছে ইউএনএইচসিআর।
বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গারা জাতিসংঘের শরণার্থী হিসেবে গণ্য হয়। ১৯৯২ সাল থেকে তাদের খাদ্য, পানীয় ও অন্যান্য সহায়তা করে আসছে ইউএনএইচসিআর।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নোয়াখালীর হাতিয়ার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ তেঙ্গার চর জোয়ারে কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেখানে রাস্তা নেই, বন্যা প্রতিরোধব্যবস্থাও নেই। কিন্তু এরপরও সরকার হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সেখানে স্থানান্তর করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রবল জোয়ারে পুরো দ্বীপটিই তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। তাই এখানে বাস করা প্রায় অসম্ভব।’
নিম্নাঞ্চল তেঙ্গার চর হাতিয়া দ্বীপ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। মাত্র আট বছর আগে এটি সমুদ্রবক্ষে জেগে ওঠে।