সড়কে জলহস্তী, এসিতে ভালুক
নগরের ব্যস্ত সড়ক ধরে হাঁটছে ঢাউস সাইজের জলহস্তী। বাড়ির এয়ারকন্ডিশনারে বসে আছে অসহায় ভালুক। ভাবছেন, কোনো সিনেমার দৃশ্য এটি। একেবারেই নয়। প্রবল বন্যায় চিড়িয়াখানা প্লাবিত হওয়ায় এই পশুগুলো আশ্রয় নিয়েছে লোকালয়ে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বন্যায় ভেসে গেছে জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসি। নিহত হয়েছেন ১২ জন লোক। গৃহহীন হয়েছেন শত শত। তলিয়ে যাওয়া বাড়িতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে চলছে অভিযান। হতাহত ব্যক্তিদের স্মরণে সোমবার সারা দেশে ঘোষিত হয়েছে শোক।
বানের পানিতে ভেসে কিংবা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নগরের ফুটপাত, শপিংমল কিংবা বসতবাড়ির সামনে পশুদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। নগরের প্রধান চত্বরের এক কোণে দেখা গেছে এক জলহস্তীকে। পরে চিড়িয়াখানার প্রাণীকে নিবৃত্ত করার বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়ে এটিকে শান্ত করা হয়েছে।
নগরের আরেকটি বাড়ির এয়ারকন্ডিশনার ধরে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে একটি ভালুককে। বাড়ির ব্যালকনিতে হায়েনাও দেখেছেন আরেক ব্যক্তি।
ভয়াবহ ওই বন্যায় বাঘ, সিংহ, ভালুক, নেকড়েসহ চিড়িয়াখানার অনেক প্রাণী নিখোঁজ হয়ে গেছে। তিনজন মৃত ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে চিড়িয়াখানায়। তাঁদের দুজনই চিড়িয়াখানার কর্মী। বিষয়টি জানিয়ে তিবলিসি চিড়িয়াখানার নারী মুখপাত্র এমজিয়া শারাশিদজে বলেন, চিড়িয়াখানা থেকে বেরিয়ে পড়া নেকড়ে, সিংহ, বাঘ কিংবা শেয়ালগুলোকে হয় গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে, অথবা এগুলো হারিয়ে গেছে বানের জলে।
নদী প্লাবিত হয়ে তিবলিসিতে বন্যার ঘটনা নতুন নয়। ২০১২ সালের মে মাসের বন্যায়ও নগরের পাঁচ বাসিন্দা নিহত হন।