রাজনৈতিক সংস্কার বিল নিয়ে হংকংয়ের নাগরিকরা দ্বিধাবিভক্ত
রাজনৈতিক সংস্কার বিল নিয়ে হংকংয়ের নাগরিকরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিলটির ওপর ভোটের এক সপ্তাহ আগেই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেছে গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকরা। চীনাপন্থীরা বিলের পক্ষে সমাবেশ করছে। আগামী সপ্তাহে সংসদে এই বিলের ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এই বিল পাসের মাধ্যমে ২০১৭ সালে নাগরিকরা তাদের নির্বাহী প্রধান নির্বাচনে ভোটের অধিকার পাবে। তবে এ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করে দেবে এক হাজার ২০০ সদস্যের বেইজিংপন্থী কমিটি। এরই প্রতিবাদে গণতন্ত্রপন্থী শত শত মানুষ ফের রাস্তায় নেমে এসেছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকরা কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শহরের আইন পরিষদের ভবনের (লেগকো) বাইরে বিক্ষোভকারীরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করছে। বিভিন্ন লেখাসংবলিত ব্যানার হাতে নিয়ে গণতন্ত্রপন্থী ও বেইজিংপন্থীরা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করছে। এ অবস্থায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বোমা হামলা পরিকল্পনার অভিযোগে ছয়জন আদালতে অভিযুক্ত হয়েছেন। এই বিক্ষোভের সঙ্গে তারা জড়িত রয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে জানা যায়নি। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে শত শত পুলিশ লেগকোর বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ বুধবার সংসদে এই সংস্কার বিল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্কের প্রথম সারির বক্তা প্রধান সচিব (চিফ সেক্রেটারি) ক্যারি লাম। এই প্যাকেজ ঠেকানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, এই প্রশাসন আবার সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না। তাই নিশ্চিতভাবে একটি অচলাবস্থা দেখা দেবে।
বেইজিংপন্থী কর্মী চ্যান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এই বিল পাস হওয়া উচিত। আমরা হংকয়ের স্থিতিশীলতার পক্ষে সমর্থন জানাই।
বিক্ষোভকারী ফিয়ন উং বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘তথাকথিত গণতন্ত্রের বিরোধিতা করার জন্য আমি এখানে এসেছি। এই বিল পাস হলে অকুপাই মুভমেন্টে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।’
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আইনপ্রণেতারা জানান, এই সংস্কার প্রস্তাব সত্যিকার গণতন্ত্রকে প্রতিনিধিত্ব করছে না। চীনা সরকারের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তারা ভোট দেবেন। আইনসভায় এই বিলটি পাসের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন।
হংকংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সং রুয়ান বলেন, ‘একরোখাভাবে যদি এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দেওয়া হয়, তাহলে হংকংয়ে গণতন্ত্রে অচলাবস্থা দেখা দেবে।’