সিরিয়ায় ‘রাসায়নিক হামলায়’ নিহত ৭০, বিশ্বজুড়ে নিন্দা
সিরিয়ায় ‘রাসায়নিক হামলায়’ বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ শিশুসহ কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে ওই হামলা চালানো হয়। হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, এটি একটি রাসায়নিক হামলা। এ ছাড়া এটি সিরিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়ংকর হামলাগুলোর একটি বলেও উল্লেখ করেছিল দেশটি।
হামলার জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তাঁর সহযোগী রাশিয়াকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাসায়নিক হামলার কথা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন বাশার। আর রাশিয়া জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে ওই অঞ্চলে তাঁদের কোনো যুদ্ধবিমান ছিলনা।
হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এ হামলা সিরিয়ার নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে হামলা। এটা নিন্দনীয়। সভ্য বিশ্বের বাসিন্দারা এটা এড়িয়ে যেতে পারেন না।
এ হামলার দায় যুক্তরাষ্ট্রের বিগত প্রশাসনের দুর্বলতার ওপর চাপান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছিলেন, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু পরে তিনি কিছুই করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব বরিস জনসন এ হামলার জন্য সিরিয়া সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা আসাদ সরকারের কাজ বলে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এটি অবশ্যই একটি যুদ্ধাপরাধ।’
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে আজ সকালে এ হামলার বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়ান মার্ক এই বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সিরিয়ায় হামলাকে ঘৃণ্য কাজ বলে উল্লেখ করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে লেখেন, ‘সাধারণ মানুষ ও শিশুদের ওপর এই নিষ্ঠুর ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলার জন্য কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।’