গির্জায় হামলার পর মিসরে জরুরি অবস্থা
মিসরে দুটি গির্জায় বোমা হামলার জের ধরে দেশটিতে তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি। ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ জন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবনে দেওয়া এক বক্তৃতায় জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেন সিসি। তিনি বলেন, চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ওই যুদ্ধ ‘দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক’ হবে। ‘সংবিধান ও আইন’ মেনেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হলো।
জরুরি অবস্থা চলাকালীন কোনো পরোয়ানা ছাড়াই কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া বাড়িতেও তল্লাশি চালানো যাবে। প্রেসিডেন্টের ওই প্রস্তাব দেশটির পার্লামেন্টে অনুমোদনের পরই বাস্তবায়ন করা হবে। মিসর পার্লামেন্টে সরকারদলীয় সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ রয়েছে।
গতকাল ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের পবিত্র দিন ‘পাম সানডে’তে মিসরের দুটি কপটিক গির্জায় বোমা বিস্ফোরণ হয়। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিসের সফরের মাত্র এক সপ্তাহ আগে ওই বোমা হামলা চালানো হয়।
রোববার রাজধানী কায়রো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে নিল উপত্যকার শহর তান্তার একটি গির্জায় প্রথম হামলাটি হয়। ওই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর আলেকজান্দ্রিয়ার আরেকটি গির্জায় বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী এক হামলাকারী। দুটি হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন আহত হয়েছেন।
মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় আক্রান্ত একটি গির্জা ভবনে ছিলেন পোপ তাওয়াদ্রোস। তবে হামলায় তাঁর কোনো ক্ষতি হয়নি।
এদিকে, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট তাদের মুখপত্র বার্তা সংস্থা আমাকের মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।