যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আইসক্রিম খাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার সেনারা!
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু হামলার জবাব দিতেও উত্তর কোরিয়া সক্ষম বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার চেষ্টা যখন ব্যর্থ হয়েছে এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সেনাদের দেখা গেছে খোশ মেজাজে আইসক্রিম খেতে। একটি ফুলের প্রদর্শনীতে গিয়ে তাঁদের আনন্দে সময় কাটাতেও দেখা গেছে।
আজ রোববার যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল অনলাইনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ওয়াটার পার্কে একটি ফুলের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে দেশটির সেনা সদস্যরা আনন্দ করছেন এবং আইসক্রিম খাচ্ছেন। গোটা বিশ্ব যখন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত, তখন ওই দেশটির নাগরিকরা ছুটির দিন উপভোগ করছে।
গত ৮ এপ্রিল পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে কোরীয় উপদ্বীপের দিকে পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন। উত্তর কোরিয়ায় উসকানিমূলক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাব দিতেই ওই যুদ্ধজাহাজ সেখানে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
একদিন আগেই উত্তর কোরিয়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই বিস্ফোরিত হয় বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র।
উত্তর কোরিয়ায় উসকানিমূলক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এই প্রথম নয়। এর আগে জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ঠিক আগমুহূর্তে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন। মাত্র একদিন আগেই উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেছে যে তারা পরমাণু হামলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
দেশটি এরই মধ্যে পাঁচটি পরমাণু পরীক্ষা ও বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শক্ত অবস্থান নিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকি মোকাবিলায় তাঁর দেশ একাই ব্যবস্থা নিতে সক্ষম।
ওদিকে, চীন কোরীয় উপত্যকায় যেকোনো সময় যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়াকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জং-আন যুক্তরাষ্ট্রকে উসকানিমূলক পদক্ষেপ না নিতে সতর্ক করে দেন।
পিয়ংইয়ংয়ে কুচকাওয়াজে ট্যাংক এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের বড় ধরনের প্রদর্শনী করা হয় নিজেদের বর্তমান সামরিক শক্তি তুলে ধরার জন্য।
ওই সামরিক প্রদর্শনীতে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করার উদ্দেশ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার সম্ভব।