‘কাতারের এক ডলার ক্ষতি হলে অন্যদেরও হবে’
‘আমাদের রিজার্ভ ও বিনিয়োগ তহবিল জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) চেয়েও ২৫০ শতাংশ বেশি। আমার মনে হয় না কাতারের মানুষদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে।’
কাতারের অর্থমন্ত্রী আলী শরীফ আল ইমাদি সিএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কাতার, এ ধরনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশসহ মোট সাতটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। সৌদি আরবের পাশাপাশি অন্যদেশগুলো হচ্ছে- বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন, লেবানন, মিসর ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। এসব দেশের অভিযোগ সন্ত্রাসবাদে সমর্থন জুগিয়েছে কাতার।
এসব দেশকে ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী আল ইমাদি বলেন, ‘যদি আমরা এক ডলার হারাই, তবে অন্যরাও এক ডলার হারাবে।’
মন্ত্রী আল ইমাদি বিশ্বে প্রভাবশালী এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে অন্যতম কাতার এয়ারওয়েজের নির্বাহী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট।
উপসাগরীয় এলাকার দেশ কাতারকে স্বচ্ছল বলা যায়। তবে বলা হচ্ছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে রমজান মাসে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে। সুপার মার্কেটগুলোও পড়েছে সংকটে।
তবে অর্থমন্ত্রী আল ইমাদি এসব কথাবার্তা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, দোহা এর আগে খাদ্যসহ অন্য পণ্য আমদানি করত ব্রাজিল এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে। যা এখনো চলছে। এ ছাড়া আছে তুরস্ক এবং ইউরোপ। দোহা জানিয়ে দেবে জিনিসপত্র পাওয়ার জন্য তার যথেষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র আছে।
আল ইমাদি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি, আগের চেয়ে আমাদের গতি বেড়েছে।’
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কাতারি রিয়ালের পতন হচ্ছে। তবে আল ইমাদি জানিয়েছেন, দোহার উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। অর্থনীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থা রক্ষায় কাতারের কাছে সব ধরনের ব্যবস্থা আছে।
আল ইমাদি বলেন, ‘বর্তমান অবস্থান, বিনিয়োগ নিয়ে বেশ ভালো আছি আমরা।’ তিনি জানান, সরকারের এখন বাজারে হাত দেওয়া বা বন্ড কেনা প্রয়োজন নেই। আল ইমাদি বলেন, ‘আমরা এখনো বিশ্বের ২০ থেকে ২৫টি দেশের মধ্যে আছি। আমি মনে করি অন্যদের চেয়ে আমাদের দেশের মানুষ অনেক ভালো আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ব্যবসার জন্য কাতার সবসময় উন্মু্ক্ত।’