কাতারের বিরুদ্ধে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগ আনল বাহরাইন
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরব বিশ্বের ছয় দেশ। আর এ নিয়ে কাতার ও আরব বিশ্বের মধ্যে বেশ উত্তেজনা চলছে। ঠিক এমন সময় কাতারের জন্য আরো একটি নেতিবাচক খবর প্রকাশ করেছে বাহরাইনের সম্প্রচার মাধ্যম।
খালিজ টাইমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার দেশটির সম্প্রচার মাধ্যম কাতারের আমিরের উপদেষ্টা হামাদ বিন খলিফা আল আতিয়্যা এবং পলাতক ধর্মীয় নেতা হাসান সুলতানের মধ্যকার ফোনালাপের চারটি অডিও ফাঁস করেছে। ২০১১ সালের মার্চে আতিয়্যা ও সুলতানের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়েছিল।
বলা হচ্ছে, ওই ফোনালাপে বাহরাইনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য কাতারের এই কর্মকর্তা হাসান সুলতানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছেন।
ফোনালাপে কাতারের সেনাবাহিনী কেন দ্বীপ জিসিসির যৌথ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে না, হাসান সুলতানের কাছে তা ব্যাখ্যা করেছেন আতিয়্যা। তিনি বলেন, তাঁর দেশ এ মুহূর্তে অংশ নিচ্ছে না। তবে দুজন কাতারি পর্যবেক্ষক এতে কর্মকর্তা হিসেবে অংশ নিচ্ছে।
এ সময় হাসান সুলতান বলেন, দ্বীপ রক্ষা বাহিনী একটা ‘দখলদার বাহিনী’তে পরিণত হবে এবং সেখানে তিনি কাতারের সৈন্যবাহিনীকে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
হাসান সুলতান ধর্মীয় দাওয়া পার্টির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি ১৯৯০-এর মাঝামাঝিতে সহিংসতা তৈরির ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। হাসান সুলতান সংসদ সদস্য ছিলেন এবং তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে ২০১১ সালে লেবাননে পালিয়ে যান।
লেবাননে হাসান সুলতানকে আশ্রয় দেয় হিজবুল্লাহ। তিনি প্রায়ই ইরাক ভ্রমণ করতেন এবং সেখানকার অনুসারীদের কাছে টাকা-পয়সা পৌঁছাতেন।
এ ছাড়া হাসান সুলতান বিলুপ্ত সংগঠন আল উইফাক ইসলামিক সোসাইটিরও সদস্য ছিলেন। এ সদস্যরা সব সময় সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার সাক্ষাৎকারে অংশ নিতেন। একইভাবে ওই সংবাদমাধ্যমটিও তাদের সংবাদ প্রচার করত।