কাতারিদের আবার সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত করল সৌদি জোট
সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও মিসর। এর কয়েক দিন পর সৌদি জোট কাতারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এর রেশ না কাটতেই নতুন করে কাতারের নয় ব্যক্তি ও নয় প্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসের তালিকায় যোগ করেছে দেশ চারটি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ওই নয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আল-বালাঘ চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন, ইহসান চ্যারিটেবল সোসাইটি, রহমা চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশন, আলা-সারায়া মিডিয়া সেন্টার, নাবা টিভিসহ বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও গণমাধ্যম।
এ ছাড়া সন্ত্রাসী তালিকায় নতুনভাবে যোগ করা হয়েছে খালিদ সাইদ আল বাউনায়েন, শাকের উম্মাহ আল শাহওয়ানি, মুহাম্মদ বাকর আল-দাবাসহ মোট নয়জনকে।
এ বিষয়ে সৌদি জোটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংযুক্ত ওই প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাতারকে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর সৌদির নেতৃত্বাধীন দেশগুলো সম্প্রতি কাতারকে ১৩টি দাবি দেয়। এর মধ্যে দোহাভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা বন্ধ ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক কমানোর বিষয়টিও ছিল। তবে কাতারের পক্ষ থেকে এই দাবিগুলো ‘অবাস্তব ও বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ বলে দাবি করা হয়।
কাতার জানায়, প্রতিবেশীদের নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত যদি কাতারের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে তা কখনই মেনে নেওয়া হবে না।
পরে ১৩ শর্তের পরিবর্তে ছয়টি নীতি মেনে চলতে কাতারকে আহ্বান জানায় সৌদি জোট। নীতিগুলোতে কাতারকে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা হয়। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা ছড়ানোর সংশ্লিষ্ট কাজ থেকেও বিরত থাকতে বলা হয় দেশটিকে।
এই সংকটের মধ্যে কাতার পাশে পায় তুরস্ক, ইরানসহ কয়েকটি দেশকে। পাশাপাশি কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের পদক্ষেপের নিন্দা জানায় বহু দেশ। এর পরও নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে সৌদি ও এর সহযোগীরা।