এবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল গ্রিস
মাত্র দিন কয়েক আগেই ‘দেশের সম্মান বাঁচাতে’ গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের ডাকে সাড়া দিয়ে গণভোটে দাতাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল গ্রিসের জনগণ। এর কয়েক দিন পরই ঋণমুক্তির শর্ত হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)প্রস্তাবিত সংস্কার কর্মসূচির পথে হাঁটার প্রতিবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে গ্রিস।
ঋণমুক্তির শর্ত হিসেবে ইইউর প্রস্তাবিত সংস্কার কর্মসূচির প্রতিবাদে বুধবার পথে নামে জনতা। এ সময় পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের কয়েকদফা সংঘর্ষও হয়।
এর আগে গত রোববার ইউরোপীয় ঋণদাতাদের সঙ্গে বৈঠকে অ্যালেক্সিস সিপ্রাস জানিয়েছিলেন আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটবে গ্রিস। এরপর এই সংস্কারের বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব দেয় ইইউ নেতারা। সেই সংস্কারের শর্ত মানায় শেষ পর্যন্ত গ্রিসকে আর্থিক সাহায্যে রাজি হন ইউরোজোনের নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় দেনা মেটাতে গ্রিসের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বিক্রি ও ব্যয় সংকোচন নীতিগ্রহণসহ ইইউর দেওয়া একাধিক প্রস্তাব মেনে নেন সিপ্রাস। এর প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার কমিউনিস্ট ট্রেড ইউনিয়নকর্মীসহ বহু সাধারণ মানুষ এথেন্সের পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান।
দেশটির পার্লামেন্টের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রথমে হাতাহাতিতে শুরু হলেও একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা ছুড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এথেন্সে দুই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।