বন্যায় বিধ্বস্ত নেপাল, ভারতেও বিপর্যয়
যতদূর চোখ যায় অথৈ পানি। ডুবেছে মাইলের পর মাইল ফসলি জমি। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগ বালাই। হিমালয় কন্যা নেপালের দৃশ্য। একই দৃশ্য ভারতের একাধিক জনপদে। বাংলাদেশের মতই বন্যা নিয়ে সংকটে আছে প্রতিবেশী দুই দেশ।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির ৭৫ জেলার ২৬টিই তলিয়েছে পানিতে। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে নেপালে এরইমধ্যে ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আছে আরো ৩৫ জন। পানিতে ডুবে, ভূমি ধসে ও বিভিন্ন রোগবালাইয়ে এসব মানুষ মারা যায়। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনার্দন শর্মা পার্লামেন্টে এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে দেশটির মানুষের মধ্যে। তবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাম কৃষ্ণ সুবেদি জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্রাণ কাজ পুরোদমে শুরু করা হবে। বন্যার কারণে বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে হাতি পাঠানো হয়েছে। আটকে পড়া মানুষদের মধ্যে ৭০০ জন পর্যটকও আছে বলে জানান তিনি।
ভারতেও বন্যার কারণে বিপর্যয় নেমে এসেছে। দেশটির বিহার, আসাম, মেঘালয়, হিমাচল প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে বন্যা তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিহারে এরই মধ্যে মারা গেছেন ৫৬ জন। বিহারের ৬০ লাখ মানুষ বন্যায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে । এছাড়া আসামে বন্যায় মারা গেছেন ১৫ জন।
সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত রোববার হিমাচলে পাহাড়ধসে নিহত হয়েছে ৪৬ জন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুনর্বাসনকেন্দ্র করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আসামের বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দী মানুষের কাছে নৌকা ও হেলিকপ্টারে করে পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ। এরই মধ্যে রাজ্যটির দুই লাখ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল ও সরকারি ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে কমপক্ষে ২৫০ পুনর্বাসনকেন্দ্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় বন্যাকবলিত রাজ্যগুলোতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।