সৌদিকে বার্তা দিয়ে ইরানের সঙ্গে পূর্ণ সম্পর্কে কাতার!
ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে পুরোদমে চালু করেছে কাতার। দেশটি আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তেহরানে ফিরে যাচ্ছে কাতারের দূত। সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্রকে অবজ্ঞা করেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার।
২০১৬ সালে ইরান থেকে নিজেদের দূতাবাস প্রত্যাহার করে নেয় কাতার। তবে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করার ওই ঘোষণার সময় গত জুন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে চলা সম্পর্কের টানাপড়েনের কথা উল্লেখ করেনি কাতার।
বার্তা সংস্থা এপি এ খবর প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে কাতার জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে সর্বক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করবে কাতার।
তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আরব রাষ্ট্রগুলোর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদ দোহা থেকে নিজেদের দূতাবাস প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
কাতার ও ইরান দুই দেশেরই আছে সমৃদ্ধ গ্যাসক্ষেত্র। আর এ কারণে উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগও বজায় আছে। গত জুনে সৌদি আরবের দেওয়া অবরোধ দেওয়ার পর কাতার ও ইরানের মধ্যে বাণিজ্যিকসহ বিভিন্ন সম্পর্ক ছিল। ইরান কাতারের জন্য খাদ্য সহযোগিতাও পাঠিয়েছে। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের তিক্ততা চলছে বেশ আগে থেকেই।
রাইস ইউনিভার্সিটির গবেষক ক্রিস্টিয়ান কোটস বলেন, কাতার দেখিয়ে দিচ্ছে, সে ভিন্ন দিকে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কাতার আঞ্চলিক চাপে কখনোই মাথা নত করবে না।
গত ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাইরাইন, মিসরসহ আরো কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
সমৃদ্ধ গ্যাসক্ষেত্রের পাশাপাশি কাতারের মাথাপিছু আয়ও প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। আগামী ২০২২ সালে দেশটি বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করবে।