অসম্ভবকে সম্ভব করে মিসরের এই বালক!
মিসরের বাসিন্দা আহমেদ করিম আবদেল ফাদিল। বয়স মাত্র আট বছর। কিন্তু এই বয়সেই দাঁত দিয়ে বড় গাড়ি টানা, কাচ খাওয়াসহ বহু অতিমানবীয় কাজ করেছে সে। এমনকি আগুনের ফুলকি গায়ে লাগলেও অক্ষত থাকে সে। এসব অতিমানবীয় কাজ করে এরই মধ্যে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে সে।
সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার খবরে বলা হয়, প্রায় ৫০০ কেজি ওজনের কোনো বস্তু ওঠাতে পারে আহমেদ করিম। এমনকি পেরেক, ছুরি বা তরবারিও তাঁর শরীরে বিঁধে না!
শিশুটির বাবা করিম আবদেল ফাদিলও অস্বাভাবিক শক্তিমত্তার কারণে মিসরে আলোচিত ছিলেন। দেশটিতে তিনি ‘করিম ফেরাউন’ নামে পরিচিত। করিম মিসরের আবানুবের আসিউতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা আল হিলাল বংশের উত্তরসূরি। এই বংশের লোকজন তাঁদের শারীরিক শক্তির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। বিখ্যাত আরব নেতা আবু জায়েদ আল-হিলালির বংশধর তাঁরা। উত্তরাধিকার সূত্রেই তাই অতিপ্রাকৃত কিছু শক্তি পেয়েছে এই বালক।
ছেলের বিষয়ে করিম আবদেল ফাদিল বলেন, চার বছর বয়সে তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর ছেলে এই অতিপ্রাকৃত শক্তি পেয়েছে। ছোটবেলায় সে ঘুমাত না। বিভিন্ন মগের কাচ খেতে চেষ্টা করত। সেই সময়ে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক একটি ঘটনা ঘটে। খুব গতিতে একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে। এই ধাক্কা তাকে অনেক দূরে নিয়ে ফেলে। কিন্তু তার কিছু হয়নি। এমনকি তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ঘটনা অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় বাবা ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক বলেন, এই বালক শারীরিক ও মানসিক শক্তি একসঙ্গে কাজে লাগাতে পারে।
চিকিৎসক করিমকে আরো বলেন, তাঁর ছেলের শরীরে এই বয়সী হাজার বালকের শক্তি রয়েছে।
বাবা করিম চান, ছেলে ভবিষ্যতে মিসরের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হবে এবং তাঁর এই শক্তিকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগাবে।