নারী প্রেসিডেন্টে খুশি নয় সিঙ্গাপুরবাসী!
সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার হালিমা ইয়াকুব (৬২)। সোমবার নির্বাচন কর্মকর্তা তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস এই খবর জানিয়েছে।
বিভিন্ন কারণে নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। সিঙ্গাপুরবাসী এই নির্বাচনকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
সিঙ্গাপুরে ৫২ বছর ধরে পিপল’স অ্যাকশন পার্টি (পিএপি) ক্ষমতায় রয়েছে। দেশটির সরকার সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতির স্বাধীনতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এ জন্য আগে থেকেই বলে দেওয়া যায়, নির্বাচনগুলোর ফলাফল। এ নিয়েও চাপা ক্ষোভ কাজ করছে সিঙ্গাপুরবাসীর মাঝে।
নির্বাচনে দুজন প্রার্থীর ব্যবসায়ে শেয়ারের পরিমাণ কম থাকায় নির্বাচন অফিস তাঁদের অযোগ্য ঘোষণা করেন। যদিও সরকার এই ব্যবসায় সংক্রান্ত নীতিমালা কয়েকদিন আগে ঘোষণা করেছিল। একই নীতিমালায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি হালিমা ইয়াকুব নিজেও। তবে তিনি সিঙ্গাপুরের সাবেক স্পিকার বিধায় বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। অনেকেই অনলাইনে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ‘মনোনয়ন’ বলে মজা করেছেন।
মালয় সম্প্রদায় থেকে ইয়াকুব হালিমা দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। বহু সংস্কৃতির এই দেশটিতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সবার অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংখ্যালঘু মালয় সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্য সংরক্ষিত করে ডিক্রি জারি করেছিল। আরো চারজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে দুজন মালয় না হওয়ায় তাঁরা বাদ পড়েন। অপর দুজন প্রার্থী হওয়ার যোগ্য না হওয়ায় তাঁদের আবেদনও বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। চীনা নৃগোষ্ঠীর লোকজন সিঙ্গাপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় সত্ত্বেও মালয়দের এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিতর্ক রয়েছে।
দেশটির একজন লেখক সুধীর থমাস ভেদাকেথ বলেন, ‘আমরা আমাদের নেতাদের চিনি। তাঁরা আমাদের বোকা বানিয়েছেন এই সংরক্ষিত নির্বাচন দিয়ে।’
অপরদিকে এই নির্বাচনের প্রশংসা করে আলিফিয়ান সা’ত বলেন, ‘সরকারি দলের পক্ষ থেকে সঠিক পদ্ধতিতেই এই নির্বাচন হয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট দেশের জন্য আরো ভালো কিছু করবে বলে আশা করছি।’
হালিমা ইয়াকুব বিবিসিকে বলেন, ‘এটি সংরক্ষিত নির্বাচন হলেও আমি সবার প্রেসিডেন্ট। সবার জন্য কাজ করে যাব।’