স্কুলের সবকিছুর নাম বারাক ওবামা!
যুক্তরাষ্ট্রে বারাক ওবামা তেমন একটা দেখাই যায় না। তবে কেনিয়ার সিয়ায়া প্রদেশের কোগেলো গ্রামের জন্য বিষয়টি সম্পূর্ণ উল্টো। সেখানে এমন স্কুলও আছে যেখানে প্রতিষ্ঠান ও ছাত্র থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছু হয়েছে বারাক ওবামার নামে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পৈতৃক ভিটা কোগেলো গ্রামে। এই গ্রামের তাঁর বাবা ওবামা সিনিয়রের জন্ম। এখানেই তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে। আর যে স্কুলগুলোর কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর হচ্ছে সিনেটর ওবামা কোগেলো প্রাইমারি স্কুল ও সিনেটর ওবামা কোগেলো সেকেন্ডারি স্কুল। দুটি স্কুলের নামই বারাক ওবামার নামে।
বারাক ওবামা একসময় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েসের গভর্নর। তাঁর সাফল্যে কোগেলো গ্রামের অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁরা সন্তানের নাম রাখেন বারাক ওবামা। এমনই একজন বারাক ওবামা ওকথ। সে সিনেটর ওবামা প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি স্কুল দুটিও সিনেটর ওবামার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের অনেকের নামই ওবামা। আর শিক্ষার্থীদের খাতা, পেনসিল, বইসহ ব্যাগেও লেখা থাকে ওবামার নাম। কিছুদিন আগে বিবিসির সাংবাদিক উপস্থিত হন কোগোলে গ্রামের সিনেটর ওবামা প্রাইমারি স্কুলে। সেখানকার ৬০ শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করা হয়, প্রেসিডেন্ট ওবামার নামে তারা নাম পরিবর্তন করতে চায় কি না। প্রায় সব শিক্ষার্থীই এর পক্ষে ছিল।
শুধু কোগেলো নয়, কেনিয়ার প্রায় সবাই বারাক ওবামাকে নিজেদের দেশের সন্তান মনে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেদের দেশের সন্তান বলে গর্ববোধ করেন কেনীয়রা। তাঁদের অনেকের মতে, এটি দেশের জন্য গৌরবের।
চলতি সপ্তাহেই কেনিয়া সফরে এসেছেন বারাক ওবামা। নিরাপত্তার খাতিরে পৈতৃক ভিটায় না গেলেও সৎদাদি ও বোনের সঙ্গে দেখা করেছেন ওবামা। তবে কেনিয়ায় আসার বেশ আগে থেকেই বাবার দেশ কেনিয়ায় যাওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ওবামা। তাঁর আগমনে কেনীয়দের উচ্ছ্বাসটাও এখানে কম নয়। কেনিয়ার অনেক দোকানে বিশেষ লেখা সংবলিত টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে। অনেক সড়কের পাশে বড় বিলবোর্ডে ওবামাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। আর পত্রিকাতেও বেশ ফলাও করে প্রচার হচ্ছে ওবামা সফরের খবর।