ধ্বংসাবশেষটি ‘নিখোঁজ’ বিমানেরই
ফ্রান্সের তদন্তকারী বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়েছে রিইউনিয়ন দ্বীপে পাওয়া ধ্বংসাবশেষটি হারিয়ে যাওয়া বোয়িং৭৭৭ বিমানেরই অংশ- এমনটিই জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী লাউই টিয়াং লাই। প্রায় একই কথা বলেছে ফ্রান্সের বিমান শনাক্তকরণ ও তদন্তকারী সংস্থা টলৌসি। তাদের মন্তব্য, ধ্বংসাবশেষটি বোয়িং৭৭৭ বিমানের একটি অংশ। তবে, এটি মালয়েশিয়ার ‘নিখোঁজ’ বিমানের কি না, এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি।
পরিবহনমন্ত্রী লাউই টিয়াং লাই রয়টার্সকে জানান, ‘তদন্তকারী সংস্থা (টলৌসি) নিশ্চিত করেছে গত সপ্তাহে ভারত মহাসাগরের রিইউনিয়ন দ্বীপে বিমানের পাখার যে অংশ পাওয়া গিয়েছিল, তা বোয়িং৭৭৭ উড়োজাহাজের অংশ। আর সাম্প্রতিক সময়ে একটি বোয়িং৭৭৭ বিমানই সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে এটি এমইচ৩৭০ বিমানের হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।’
গত বছর মার্চ মাসে ২৩৯ যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে নিখোঁজ হয়ে যায় বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি। তারপর আর কোনো খোঁজ মেলেনি। সর্বশেষ গত বুধবার ভারত মহাসাগরে মাদাগাস্কারের কাছে রিইউনিয়ন দ্বীপে দুই মিটার দীর্ঘ বিমানের একটি ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। পরে সেগুলোকে এমএইচ ৩৭০-এর ধ্বংসাবশেষ বলে চিহ্নিত করা হয়।
রিইউনিয়ন দ্বীপে পাওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষের একটি অংশ ফ্রান্সের টলৌসিতে ফরাসি, মার্কিন, মালয়েশীয় এবং বোয়িং কর্মকর্তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
বিমানটি নিখোঁজের পরই ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ প্রান্তে অস্ট্রেলিয়ার আশপাশে অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল সেখানেই মিলতে পারে বিমান নিখোঁজের সূত্র। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য জানিয়েছিলেন, সমুদ্রের স্রোত ধ্বংসাবশেষ টেনে নিয়ে যেতে পারে অনেক দূর। অবশেষে অস্ট্রেলিয়া থেকে তিন হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে সেই সন্ধান পাওয়া গেল। ধ্বংসাবশেষ থেকে এবার বিমানটির নিখোঁজ হওয়ার কারণ খোঁজা শুরু হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন পর সেটা প্রায় অসম্ভব।
ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার পর অবশ্য বিমানে নিখোঁজদের আত্মীয়দের ক্ষতে মলম পড়েছে, এমনও নয়। বরং তাঁরা বলছেন বিমানের টুকরো পাওয়ার মানে এই নয় যে বিমানযাত্রীরা তার মধ্যেই ছিলেন, বা নিশ্চিতই প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ কেউ বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন।