ধার করে চলছে সৌদি আরব!
তেলের সাম্রাজ্য সৌদি আরবের অর্থনৈতিক অবস্থা স্বস্তিতে নেই। দেশটি চলতি বছর নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রার ৬২ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ফেলেছে। এমনকি গত জুলাই মাসে স্থানীয় ব্যাংক থেকে দেশটিকে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ২০১৫ সালে সৌদি আরবের বাজেট ঘাটতি জিডিপির ২০ শতাংশে পৌঁছাবে। অনুমান করা হচ্ছে এ বছরের মধ্যেই সরকারের রাজস্ব কমে আসবে ৮২ বিলিয়ন ডলারে, যা জিডিপির আট শতাংশের সমান।
তেলের দাম গত জুনে ব্যারেলপ্রতি ১০৭ ডলার থেকে ৪৪ ডলারে নেমে আসাই এ চাপের কারণ। দেশটির অর্ধেক অর্থনীতি এবং সরকারের রাজস্বের ৮০ শতাংশই জ্বালানি শিল্প থেকে আসে।
তবে এরপরও সৌদি আরব জ্বালানি বাজারে এ-সংক্রান্ত সংস্থা ওপেকের বিরুদ্ধে অবস্থান দৃঢ় রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান শেলের মতো প্রতিষ্ঠানকে সরাতে রিয়াদ কার্যক্রমে কাটছাঁট আনতে চায় না।
বিভিন্ন খাতে খরচ বেড়েছে সৌদি আরবের। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইয়েমেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে। সিরিয়ার আইএস জটিলতায়ও গা ভরিয়েছে সৌদি। প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বেড়েছে জিডিপির ১৭ শতাংশ, যা আগে ছিল ১০ শতাংশ।
সৌদি আরবের মুদ্রা সংস্থার গভর্নর ফাহাদ আল মুবারক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সামনের মাসগুলোতে ধার করার বিষয়টি আমরা আরো দেখব।’ তবে বন্ড ইস্যুর ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশ্লেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বছর শেষে সৌদি আরবের পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যু করা উচিত। এর কিছু করা উচিত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য।