‘মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের দেখা পাবেন না’
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ফিলিস্তিন সফরে গেলে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দেখা করবেন না। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
জিবরিল রাজোউব নামের ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টকে ফিলিস্তিনে স্বাগত জানানো হবে না। এ ছাড়া জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জের ধরে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন না।
তবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি আব্বাস। চলতি মাসের শেষের দিকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সফরে যাবেন পেন্স।
এদিকে পেন্সের সঙ্গে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের বৈঠক বাতিল করলে তা ভালো কিছু বয়ে আনবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বকে আরো সংকটময় করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া এই পদক্ষেপ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের চলমান প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করবে।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে বেশ শঙ্কিত সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এ বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। জেরুজালেমে ইসরায়েলের রাজধানী স্থানান্তর ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ডেকে আনবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জর্ডান। একই ধরনের প্রতিক্রিয়া তুরস্কেরও। শুক্রবার এ নিয়ে আলোচনায় বসবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্তটি কিন্তু বেশ পুরোনো। ১৯৯৫ সালেই মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদিত এক আইনে ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সাবেক সব প্রেসিডেন্টই ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার জন্য স্বাক্ষর করেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর একই পথে হেঁটেছিলেন ট্রাম্পও। তবে এবার বেঁকে বসেছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস স্থানাস্তর বিলম্বের জন্য প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের শেষ দিন। আর এদিন স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৮০ সালে তারা পূর্ব জেরুজালেমকে অধিগ্রহণ করে নেয় এবং ইসরায়েলের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ওই অঞ্চলকে দখলকৃত হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।