নেপালে জয়ের পথে বামপন্থীরা
নেপালের সাধারণ নির্বাচনে বামপন্থীদের নেতৃত্বাধীন জোট বড় ধরনের জয়ের পথে রয়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহী নেতৃত্বে মধ্যপন্থী কমিউনিস্টদের জোট ৮০টি আসনের মধ্যে ৬৩টিতে জয় পেয়েছে।
নেপালের রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি ও গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে গত ২৬ নভেম্বর প্রথম দফা এবং গত বৃহস্পতিবার শেষ দফা ভোট হয়।
২৩৯ বছরের পুরোনো রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে নেপাল ২০১৫ সালে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করে। এই সংবিধান অনুযায়ী এবারই প্রথম ভোট হচ্ছে। এতে জাতীয় সংসদের পাশাপাশি ভোটাররা দেশের সাতটি প্রদেশের প্রতিনিধিও নির্বাচিত করবেন।
এরপর প্রাথমিকভাবে জাতীয় সংসদের ৮০টি আসনের ফল ঘোষণা শুরু হয়। এর মধ্যে ৬৩টি আসনে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করেছে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফাইড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট) বা সিপিএন-ইউএমএলের মাধব কুমার নেপাল এবং নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (মাওবাদী-কেন্দ্র) সাবেক গেরিলা নেতা পুষ্পকুমার দাহাল প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন বামপন্থীরা।
দেড় কোটি ভোটারের দেশটিতে জাতীয় সংসদের মোট আসনসংখ্যা ২৭৫টি। এর মধ্যে ১৬৫ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। অর্থাৎ এসব আসনের প্রার্থীরা সরাসরি ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাকি ১১০টি আসন রাজনৈতিক দলগুলোর ভোট পাওয়ার অনুপাতে নির্ধারণ করা হয়। ঠিক একইভাবে সাতটি প্রদেশের প্রতিনিধিরাও নির্বাচিত হবেন।
নেপালি কংগ্রেসের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন জোট এবারের নির্বাচনে খারাপ ফল করেছে।
দেশটির অধিকাংশ এলাকা দুর্গম হওয়ায় এবং ভোটের পদ্ধতি জটিল হওয়ায় পুরো ভোটের ফলাফলের চিত্র পেতে দিন দশেকের মতো সময় লেগে যেতে পারে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আভাস দেওয়া হয়েছে।
সিপিএন-ইউএমএল সর্বশেষ সংসদের প্রধান বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করেছে। তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের জোটে আরো কয়েকটি ছোট ছোট বাম দল রয়েছে। এই জোটকে চীনপন্থী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অন্যদিকে মধ্যপন্থী নেপালি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটে রাজতন্ত্রপন্থীদের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের মাধেসি পার্টিও আছে। তাদেরকে ভারতপন্থী বলা হয়েছে।