আলোচনায় বসতে উত্তরের প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার আহ্বান
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসছে শীতকালীন অলিম্পিকের আসর। আর এ আসরে অংশ নেওয়ার বিষয় নিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করতে চায় দেশটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ৯ জানুয়ারি আলোচনায় বসার জন্য উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণের রাজধানী সিউল।
অবশ্য এর আগেই অলিম্পিককে ঘিরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাং শহরে তাঁর প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন। কিম বলেছেন, দুই অংশেরই উচিত জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসা।
দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনাকর সম্পর্ক বিরাজ করছে। তার পরও উত্তর কোরিয়ার নেতার আলোচনায় বসতে চাওয়ার ঘোষণার পরে সিউলের পক্ষ থেকেও আলোচনার ডাক দেওয়া হলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন বলছেন, এ আলোচনা দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি করার একটা সুযোগ হতে পারে।
দেশটির আন্তঃকোরীয় সমন্বয়বিষয়ক মন্ত্রী (ইউনিফিকেশন মিনিস্টার) চো মুং মঙ্গলবার জানিয়েছেন, দুই দেশের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিরতি গ্রাম পানমুনজমে প্রতিনিধিদল আলোচনায় বসতে পারে।
এই গ্রামটি কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত একটি বেসামরিক এলাকা। যেখানে ঐতিহাসিকভাবেই দুই কোরিয়ার মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
মুং বলেন, ‘আমরা আশা করছি, দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়া মুখোমুখি আলোচনায় বসবে। এতে অলিম্পিক ইস্যু ছাড়াও দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে অন্যান্য ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে।’
যদিও এখন পর্যন্ত ৯ জানুয়ারি আলোচনায় বসার বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এ দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই আলোচনা হয়েছিল উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ শিল্পাঞ্চলে।