মার্কিন ত্রাণকর্মীকে হত্যার আগে আইএস নেতার ধর্ষণ
যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী ত্রাণকর্মীকে দেড় বছর আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন জঙ্গিসংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। চলতি বছরের শুরুর দিকে কাইলা মুয়েলার নামে ওই ত্রাণকর্মীকে হত্যা করে আইএস। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) কর্মকর্তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে মুয়েলার পরিবার এই দাবি করেছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রাণকর্মী কাইলা মুয়েলারকে নির্যাতন করা হয় এবং তাঁকে আবু বাকের আল-বাগদাদির যৌনদাসি হিসেবে ইরাকের একটি বাড়িতে রাখা হয়। তাঁকে ১৮ মাস এভাবে বন্দি রাখা হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে আইএস জঙ্গিরা দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ বিমান হামলায় ত্রাণকর্মী মুয়েলার নিহত হয়েছেন।
মুয়েলারের পরিবারের দাবি, মুয়েলারকে ‘আল বাগদাদির সম্পত্তি’ করা হয়েছিল এবং তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হতো। গত জুনে সরকার তাঁদের এসব তথ্য জানিয়েছে।
মুয়েলারকে যে বাড়িতে রাখা হয়েছিল সেখানে আরো দুই তরুণীকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো। তাঁদের কাছ থেকে মুয়েলারের বিষয়ে তথ্য পান এফবিআই কর্মকর্তারা।
কাইলা মুয়েলারের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের প্রেসকট শহরে। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান। বেঁচে থাকলে শুক্রবার তাঁর বয়স হতো ২৭।
২০১২ সালে তুরস্কে আসেন কাইলা মুয়েলার। সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের উদ্বাস্তু শিবিরে ত্রাণসহায়তার কাজ করতেন তিনি। ২০১৩ সালে সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের একটি হাসপাতাল থেকে ছেলেবন্ধু ওমর আলকানির সঙ্গে পালানোর সময় আইএসের হাতে বন্দি হন মুয়েলার। দুই মাস নির্যাতনের জঙ্গিরা আলকানিকে ছেড়ে দেয়।
তবে, আইএস জঙ্গিদের হাতে বন্দি হওয়ার এক বছর পর পরিবারকে পাঠানো চিঠিতে মুয়েলার দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে সম্মান ও দয়ার আচরণ করা হয়।