ইন্দোনেশিয়ায় নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলের দুর্গম প্রদেশ পাপুয়ায় ৫৪ যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ ত্রিগানা এয়ারলাইনসের বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলেছে। পর্বতঘেরা একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে ত্রিগানার নিখোঁজ বিমানটি। দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে স্থানীয়দের বরাতে পাপুয়া প্রদেশের ওকসিবিল জেলায় পর্বতঘেরা একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিল দেশটির স্থানীয় পত্রিকাগুলো।
দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে খবর পাওয়ার পর পরই ত্রিগানার নির্বাহী পরিচালক বেনি সুমারিয়ান্তো জানান, পর্বতে ঘেরা পাপুয়ার ওকসিবিল এলাকায় একটা বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর জানতে পেরেছেন তাঁরা। উদ্ধারকর্মীরা আগামীকাল সোমবার সকালে এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালাবেন।
বিমানটির উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জরুরি অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থাও (বাসারনাস)। ওকসিবিল জেলায় বিমান বিধ্বস্তের খবর পাওয়ার পর পরই বাসারনাসের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় অনুসন্ধান তৎপরতা শুরুর কিছু পরই আবার তা স্থগিত করা হয়। এক টুইট বার্তায় বাসারনাস জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় ফের শুরু হবে উদ্ধার অভিযান।
রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার (গ্রিনিচমান সময় ৬টা) দিকে আঞ্চলিক রাজধানী জয়াপুরার সেনতানি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে ত্রিগানা এয়ারলাইনসের এটিআর-৪২ বিমানটি। আকাশে ওড়ার নয় মিনিট পর সর্বশেষ বিমানটির সাথে যোগাযোগ হয়। এর পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বিমানটির।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বিমানটি জয়াপুরার দক্ষিণে ওকসিবিল শহরে যাচ্ছিল।বিমানটিতে ৪৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক, পাঁচ শিশু ও পাঁচ ক্রু ছিলেন।এর আগে গত ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া শহর থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে এয়ার এশিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় ১৬২ যাত্রীর সবাই মারা যান।