ইসরায়েলি সেনাকে ফিলিস্তিনি কিশোরীর চড়, ভিডিও ভাইরাল
ফিলিস্তিনের প্রতিবাদী কিশোরী আহেদ তামিমি। ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারার অপরাধে বিশেষ সামরিক আদালতে তার বিচার চলছে। সেনাদের ওপর হামলা এবং সহিংসতা উস্কে দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে মোট ১২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড হতে পারে।
গত বছর ১৫ ডিসেম্বর ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের নবী সালেহ এলাকায় বাড়ির সামনে তামিমি একজন ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারে। এসংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, তামিমি দুজন ইসরায়েলি সেনার দিকে তেড়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে সে এক সেনাকে চড় মেরেই বসে।
সেই ঘটনার পরদিন রাতে এক অভিযানে তামিমি, তাঁর মা নরিমন তামিমি এবং তার আত্মীয় নূর তামিমিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেষের দুজনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ, তারা সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেছে এবং তামিমিকে সহিংসতায় সহায়তা করেছে।
তামিমি জানায়, একই দিনের এক ভিডিওতে দেখা যায়, তার এক আত্মীয়ের মাথায় রাবারের বুলেটে দিয়ে গুলি করছে ইসরায়েলি সেনারা । তাই সে সেনাদের বাধা দিতে যায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা তামিমির গ্রামে বিক্ষোভ দমন করতে সেনা পাঠিয়েছিল । কিন্ত সেখানে ফিলিস্তিনি তরুণরা সেনাদের ওপর পাথর ছুঁড়ে মারে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী নাফাটালি বেনেট জানিয়েছেন, আহেদ এবং নূর তামিমিদের কারাদণ্ড হওয়া উচিত।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনাল বলেছে, ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে ইসরায়েল। সংস্থাটি তামিমির মুক্তি দাবি করেছে। এমনকি কিশোরীর মুক্তির দাবিতে একটি অনলাইন পিটিশনে প্রায় ১৭ লাখ সই জমা পড়েছে।
সেসময় তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান তামিমিকে তাঁর কাজের জন্য সাহসিকতা পুরস্কার দেন। ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হওয়া তামিমি এর আগে ১১ বছর বয়সে এক ভিডিওতে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা করতে চেয়ে আলোচনায় আসে।