মসজিদ নেই বলে মুসলিম অভিবাসী নিষিদ্ধ!
মসজিদ না থাকার অজুহাতে মুসলিম অভিবাসীদের নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়া। গতকাল বুধবার স্লোভাকিয়ার অভিবাসী কর্তৃপক্ষের সূত্রে একথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন টাইমস। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অভিবাসীবিষয়ক পরিকল্পনা অনুযায়ী সিরিয়ার খ্রিস্টানদের নিতে রাজি আছে দেশটি।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সীমান্তে বহু অভিবাসী এসে জড়ো হয়েছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সিরিয়ার প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এখন শরণার্থী হয়ে তুরস্ক, অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের নানা দেশে একটু আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন। দেশটির সরকার এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে তারা এই লাখ লাখ আশ্রয়হীন মানুষের মধ্যে ২০০ জনকে আশ্রয় দেবে। তবে এই আশ্রয়প্রার্থীদের সবাইকে হতে হবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
স্লোভাকিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইভান মেটিক জানান, মুসলিমরা স্লোভাকিয়াকে নিজেদের বাড়ি বলে মেনে নিতে পারবে না। কারণ এ দেশে মুসলিম উপাসনার জন্য কোনো মসজিদ নেই। এ কারণে স্লোভাকিয়া মুসলিমদের অভিবাসী হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি নয়।
এর আগে স্লোভাকিয়ার প্রেসিডেন্ট রবার্ট ফিকো অস্ট্রিয়ান একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘স্লোভাকিয়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দেশ। এই দেশে আমরা লাখ লাখ মুসলিম অভিবাসীকে আশ্রয় দিতে পারব না। কারণ তারা এসে সারা দেশে মসজিদ বানাতে শুরু করবে এবং আমাদের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধ পরিবর্তনের চেষ্টা করবে।’
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতারা মুসলিম অভিবাসীদের তাদের দেশে নিতে সমানভাবে অনাগ্রহী। এ জন্য তাঁরা ‘সম্পূর্ণ ভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমির যুক্তি’ দেখাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে স্লোভাকিয়ার প্রায় ৫২ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ মুসলিম। শুধু স্লোভাকিয়া নয়, ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেমন চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি ও এস্তোনিয়ার মতো পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলো মুসলিমবিদ্বেষী নীতি গ্রহণ করেছে।