ইসরায়েলের গোয়েন্দা ডলফিন!
শুধু মানুষ নয়, ইসরায়েলের হয়ে গোয়েন্দাগিরি করছে ডলফিনও! হামাসের বরাত দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল-কুদস (আরবি সংস্করণ)।
প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, অবরুদ্ধ শহর গাজার উপকূলের কাছে ইসরায়েলের একটি ‘গোয়েন্দা’ ডলফিন আটক করা হয়। আটকের আগে কয়েক দিন ধরেই ওই ডলফিনকে গাজার উপকূলে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল।
আটকের পর হামাস বাহিনী ডলফিনটির দেহের উপরিভাগে বাঁধা ছোট ভিডিও ক্যামেরা উদ্ধার করেছে। ক্যামেরাটি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে জানিয়েছে হামাস। এ ছাড়া ডলফিনের গায়ে বাঁধা ছিল তীর ছোড়ার উপযোগী ক্ষুদ্র যন্ত্র। পরীক্ষার পর জানা গেছে, ওই তীরে বিষ মাখানো ছিল, যা মানুষ মারতেও সক্ষম।
আল-কুদসের খবরে আরো বলা হয়, গাজার সাগরে সম্প্রতি হামাসের নৌ প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের পর ইসরায়েল ডলফিনটিকে ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। গাজা উপত্যকায় নজরদারিই ছিল এই ডলফিনের মূল লক্ষ্য। অব্শ্য গুপ্তচরবৃত্তিতে প্রাণী ব্যবহার করা ইসরায়েলের জন্য নতুন ঘটনা নয়। এর আগে ২০১২ সালে মিসরে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ একটি ঈগল পাখিকে আটক করা হয়।