গ্রিস-মেসিডোনিয়া সীমান্তে ‘মানবিক বিপর্যয়’
গ্রিসে বাধা পেয়ে কয়েকশ অভিবাসী মেসিডোনিয়ার সীমান্ত এলাকায় জমায়েত হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
অভিবাসী পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত বৃহস্পতিবার মেসিডোনিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। অভিবাসীদের বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উত্তরাঞ্চলের দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘ অবশ্য গ্রিস ও মেসিডোনিয়া উভয় দেশকে ক্রমেই খারাপ হতে যাওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে।
গত দুই মাসে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ মেসিডোনিয়া হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করে। এ সময় দেশটির সরকার কাউকে বাধা দেয়নি। কিন্তু এখন সীমান্ত এলাকা কাঁটাতারের বেড়া তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে কয়েকশ অভিবাসী সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দেশটিতে প্রবেশ করে।
চিকিৎসকদের সংগঠন মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ারস জানিয়েছে, মেসিডোনিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী অজ্ঞান করা স্টান গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে আহত ১০ অভিবাসীকে চিকিৎসা দিয়েছে সংগঠনটি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপ অঞ্চলের উপপরিচালক গৌরি ফন গুলিক বলেন, ‘মেসিডোনিয়া কর্তৃপক্ষ এমনভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে মনে হচ্ছে তারা দাঙ্গাবাজদের মুখে পড়েছে, সহিংসতা ও নির্যাতন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের নয়।’
শুক্রবার মেসিডোনিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা সীমিত পরিসরে অবৈধ অভিবাসীদের বিপন্ন শ্রেণিতে প্রবেশ করতে দেবে তারা। রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী তারা ত্রাণ সহায়তা পাবে।’ গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ ১৮১ অভিবাসীকে অস্থায়ীভাবে প্রবেশ করতে দিয়েছে তারা।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) নারী-শিশুসহ কয়েক হাজার অভিবাসীকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ক্রমেই খারাপ হতে থাকা পরিস্থিতিতে তারা গ্রিসের সীমান্ত এলাকা জড়ো হয়েছে। সংস্থাটি মেসিডোনিয়াকে এর সীমান্ত সুশৃঙ্খল ও সুরক্ষা-সংবেদী করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে গ্রিসকে তার সীমান্ত এলাকায় নিবন্ধন ও অভ্যর্থনার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
ইউএনএইচসিআর আরো জানিয়েছে, মেসিডোনিয়া কখনো তার সীমান্ত বন্ধ করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিল, তবে তা করা হয়নি।