সাপই ছিল তাঁর জীবন, সাপই নিল জীবন
সাপ নিয়ে নানা কসরত দেখিয়েই তিনি জনপ্রিয়তার চূড়ায় উঠেছিলেন। কীভাবে সাপকে আঘাত না করেই বশ করা যায়, এ জন্য পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণও দিতেন তিনি। নিজের ঘরে সাপ পোষতেন, সাপের সঙ্গেই ছিল তাঁর বসবাস। কিন্তু সেই সাপের দংশনেই প্রাণ গেল মালয়েশিয়ার ‘সর্পরাজ’খ্যাত আবু জারিন হোসেনের।
গত সোমবার সাপ ধরতে গিয়ে বিষাক্ত কোবরার দংশনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জারিন। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, আবু জারিন হোসেন মালয়েশিয়ার পাহাং অঞ্চলের বাসিন্দা। কীভাবে না মেরে সাপ ধরতে হয়, সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। এ ছাড়া সাপের নানা প্রজাতি চিহ্নিত করার কাজও শেখাতেন তিনি।
সাপের আচরণ বোঝার জন্য জারিন নিজের বাড়িতে চারটি সাপ পুষতেন বলেও জানা যায়।
২০১৬ সালে ব্রিটিশ একটি ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত এক খবরের পর জারিন প্রথমবারের মতো সবার নজরে আসেন। প্রকাশিত ওই খবরে ভুলবশত তাঁকে থাইল্যান্ডের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, আবু হোসেন এক সাপকে বিয়ে করেছেন। সাপ নিয়ে খেলা করছেন এমন কিছু ছবিও প্রকাশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
পরে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জারিন এমন মিথ্যা সংবাদের জন্য হতাশা প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া আবু জারিন হোসেন ‘এশিয়া গট ট্যালেন্ট’ নামে এক টিভি রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণ করেন। ওই অনুষ্ঠানে সাপের ঠোঁটে চুমু খেয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন তিনি।