রাশিয়ায় আগুনে নিহত ৬৪, ‘বন্ধ ছিল বের হওয়ার পথ’
রাশিয়ার সাইবেরিয়ার কেমেরোভো শহরের একটি বিতণী বিতান ও বিনোদন কেন্দ্রে আগুন লেগে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু।
রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পর কোনো ঘণ্টা বা অ্যালার্ম বেজে ওঠেনি এবং বিপণী বিতান থেকে বের হওয়ার দরজা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
স্থানীয় সময় রোববারের এ আগুন ওপরের তলায় লাগে। এসময় দোকান, সিনেমা ও শিশুদের খেলার জায়গায় মানুষের ভিড় ছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রাণ বাঁচাতে লোকজন জানালা দিয়ে লাফ দিচ্ছে।
তদন্তকারী কমিটি বলেছে, অগ্নিনির্বাপণের দায়িত্ব থাকা টেকনিশিয়ানকে আগুন লাগার কথা বলা হলেও তিনি ভবনের অ্যালার্ম ব্যবস্থা বন্ধ রাখেন।
কমিটি জানায়, অগ্নিনির্বাপণের দায়িত্বে থাকা অন্য দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
১০ জনকে এখনো নিখোঁজের তালিকায় রাখা হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষকরা ছুটিতে থাকা ছাত্রদের খোঁজ করছেন। কতজন ছাত্র ওই ভবনে গেছিল তা তারা জানেন না।
ফেসবুক পোস্ট রাশিয়ার রাজনীতিবিদ আন্তন গোরেলকিন বলেন, বের হওয়া রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। যার ফলে এটি মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়। তিনি আরো জানান, এক নির্বাপণকারী শুরুতেই আগুন নেভাতে পারতেন। কিন্তু তিনি কাজটি করেননি।
সাইবেরিয়ার ডেপুটি গভর্নর ভ্লাদিমির চেরনভ বলেন, প্রশ্নটা হলো কেন দরজা রাখা হয়েছিল?
রাশিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, ছাদের বেশির ভাগই ধসে পড়েছে। চতুর্থ তলায় শিশুদের খেলার ঘর ও সিনেমায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিনির্বাপকরা বলছেন, একদিন পরও ভবন থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। ভবনের বাকি অংশ ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ডেপুটি গভর্নর চেরনভ আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুদের খেলার ঘরে এক শিশুর কাছে সিগারেট লাইটার ছিল, সেখান থেকে আগুন ফোমে লাগে। এরপর বারুদের মতো আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’
তবে স্থানীয় এক টিভি বলছে, বিদ্যুতের গোলযোগ থেকে এ আগুন লেগে থাকতে পারে।