ক্ষমতার অপব্যবহার, পার্কের ২৪ বছরের সাজা
ক্ষমতার অপব্যবহার ও দমনপীড়নের দায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাইকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার এ রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না কারাবন্দি পার্ক।
রায়ে একই সঙ্গে ১৮ বিলিয়ন ওন (এক কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
পার্ক গিউন-হাই এই বিচার বর্জন করেছেন। এর আগে তিনি অভিযোগ করেন, আদালত পক্ষপাতদুষ্ট। তিনি কোনো অন্যায় করেননি বলেও দাবি করেন।
রায় ঘোষণার সময় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, যা দেশটির ইতিহাসে কখনো হয়নি। তবে এ বিষয়ে জনগণের তুমুল চাপ থাকায় আদালত অনুমতি দিয়েছেন বলে জানানো হয়।
ক্ষমতাচ্যুত পার্কের ভুলের পেছনে রয়েছে একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ঘনিষ্ঠ বন্ধু চই সুন-সিলকে নিয়ে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য ঘুষ লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন পার্ক। ক্ষমতায় থাকার সময় চই অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সরকারি নথিপত্র ব্যবহারে চইকে অবৈধ ক্ষমতা দিয়েছিলেন পার্ক। রাষ্ট্রীয় কাজে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন।
দীর্ঘ কয়েক মাস পার্কের পদত্যাগ দাবিতে দক্ষিণ কোরিয়ার রাস্তায় বিক্ষোভ হয়। শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালের মার্চে ক্ষমতা ছাড়তে তিনি বাধ্য হন। এর অল্প কিছুদিন পরই পার্ককে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি বন্দি আছেন।
ঘুষ লেনদেন, নির্যাতনসহ পার্কের বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই প্রমাণিত।