হামলার মধ্যে কর্মস্থলে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সিরিয়ায় হামলার মধ্যেও দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ তাঁর কর্মস্থলে গেছেন। সিরিয়ার সরকারের অফিশিয়াল টুইটে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ৬ সেকন্ডের এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
ওই টুইটে আরবিতে লেখা ছিল, ‘সকালের প্রাণোচ্ছলতা।’ ভিডিওটিতে দেখা যায়, বাশার আল-আসাদ স্যুট-টাই পরে হাতে একটি ব্রিফকেস নিয়ে মার্বেল ফ্লোরে হেঁটে যাচ্ছেন।
গত সপ্তাহে সিরিয়ার দুমা এলাকায় রাসায়নিক হামলার পর পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার সবসময়ই দুমায় রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করে আসছে।
তবে সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া এ হামলার বিরোধিতা করে আসছে। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে এক ব্রিফিংয়ে জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেন, তিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে।
এগুলো হলো ১. দামেস্ক শহরের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার, যেখানে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র উৎপাদন করা হয় বলে জানা যায়। ২. হোমস শহরের একটি রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার আর ৩. হোমসের পাশেই আরেক অস্ত্রভাণ্ডার, যেখান থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, সরকারি বাহিনী ১২টার বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, প্রথম দফার বিমান হামলা শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁ হামলায় তাঁর দেশের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুমায় রাসায়নিক হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ, শিশুকে হত্যা করেছে সিরিয়া। এর জবাবেই এ হামলা।
এক বছরের কিছু আগেও সিরিয়ার ওপর বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেবার ৫৯টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এবার সংখ্যাটা এরই মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে।
صباح الصمود..
رئاسة الجمهورية العربية السورية pic.twitter.com/hhIZT6cOTe
— Syrian Presidency (@Presidency_Sy) April 14, 2018