গৌতা পুনরুদ্ধারের ঘোষণা সিরীয় সেনাদের
সিরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে পূর্ব গৌতা থেকে সরকারবিরোধী বাহিনীর সব সদস্য চলে গেছে। রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটি পুনরুদ্ধারে দুই মাসের অভিযান চালানোর পর এটি সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এলো।
বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য দিয়েছে।
ওই অঞ্চলের প্রধান শহর দৌমায় একটি সন্দেহজনক রাসায়নিক হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সিরীয় সরকারি বাহিনীর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, এটি প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অন্যতম ‘কৌশলগত বিজয়’।
এক সেনা মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা শনিবার জানায়, ‘সব সন্ত্রাসী দৌমা ছেড়ে চলে গেছে। গৌতায় ছিল তাদের সর্বশেষ ঘাঁটি।’
এক সেনামুখপাত্র বলেন, ‘দামেস্কের উপকণ্ঠে ইস্টার্ন গৌতার এলাকাগুলো সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা হয়েছে।’
দামেস্ক থেকে সামান্য পূর্বে অবস্থিত পূর্ব গৌতা ছিল একটি আধা পল্লী এলাকা। এখানে প্রায় চার লাখ লোকের বাস।
সরকারি বাহিনী অবরুদ্ধ করে রাখায় এখানে খাবার, ওষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে গাড়ি বহর ঢুকতে পারেনি।
অঞ্চলটি পুনরুদ্ধারে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সিরীয় সরকার ও তার মিত্র বাহিনী বড় ধরনের অভিযান শুরু করে। ২০১২ সাল থেকে অঞ্চলটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল না।
ব্রিটেন ভিত্তিক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, ব্যাপক বোমা বর্ষণে এই অঞ্চলের প্রায় এক হাজার ৭০০ বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে।
দামেস্কের বিরুদ্ধে দৌমায় ৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই রাসায়নিক হামলার জবাবে শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন সিরিয়ার সন্দেহজনক রাসায়নিক অস্ত্রের স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
সিরিয়া ও তার মিত্র রাশিয়া বরাবরই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।