ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি, নিহত ১০
বিরোধপূর্ণ সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের গোলাগুলিতে অন্তত ১০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালের এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত ৫০ জন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোট শহরের কাছে ছয়জন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি গ্রামে চারজন নিহত হয়েছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটল।
উভয় পক্ষই নিয়মিতভাবে কাশ্মীর ও দক্ষিণ পাঞ্জাবে মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে। এ মাসে এই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা আরো বেড়ে গেছে। আর এতে হতাহত হচ্ছে বেসামরিক নাগরিক। গত রোববারের এ বৈঠকের মাধ্যমে এই উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু আলোচনার মূল এজেন্ডায় কাশ্মীর ইস্যু রাখা উচিত কি না—এ প্রশ্নে গত শনিবার তা ভেস্তে যায়। গত মাসে রাশিয়ায় একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের এ বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়।
পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ভারতীয় বাহিনী গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তা চলে। এতে ছয়জন বেসামরিক নাগরিক ‘শাহাদাতবরণ’ করেছে। ২২ নারীসহ ৪৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কর্মকর্তা রাকেশ কুমার শর্মা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন। তিনি জানান, পাকিস্তানের মর্টার শেলের আঘাতে গ্রামের চারজন বাসিন্দা নিহত হয়েছে।
আরেক বিএসএফ কর্মকর্তা জে এস ওবেরিও জানান, শেলের আঘাতে আহত হয়েছে আরো ১৬ জন।
১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তান তিনবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুবার যুদ্ধ হয়েছে এই কাশ্মীর নিয়ে। দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। ভারতশাসিত কাশ্মীরে ১৯৮৯ সাল থেকে বেশ কয়েকটি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী লড়াই করছে।