শান্তি আর পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে যৌথ ইশতেহার দুই কোরিয়ার
কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করা আর শান্তি রক্ষায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে।
আজ শুক্রবার সকালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন অসামরিক সীমান্ত এলাকায় বৈঠকে বসার পার বিকেলে এই চুক্তির ঘোষণা আসে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুনের মুখপাত্র ইয়ুন ইয়াং-চ্যান এক বিবৃতিতে চুক্তির ঘোষণা কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আন্তরিক ও খোলামেলা আলোচনা করেছেন দুই শীর্ষ নেতা।’
বৈঠকের সংক্ষিপ্তসার করে বিবিসি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, দুই কোরিয়া আর কখনই যুদ্ধে জড়াবে না বলে অঙ্গীকার করেন দুই নেতা। উত্তর কোরিয়ার নেতা প্রথমবারের মতো সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। বৈঠকের পর দুই নেতা কিছুক্ষণ হাঁটেন এবং কথা বলেন।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো শীর্ষ নেতার মধ্যে গত এক দশকের মধ্যে এ ধরনের বৈঠক এটাই প্রথম। এই বৈঠক নিয়ে সারা বিশ্বের গণমাধ্যমের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। এরপর উত্তর কোরিয়ার নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
আজ সকালে শুরু হওয়া বৈঠকের ছবিতে দেখা যায়, মুন ও কিম কৌতুক করছেন এবং একসঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগেও এটা ছিল অকল্পনীয় ব্যাপার। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে দুই দেশের সম্পর্ক চূড়ান্ত তিক্ততায় পৌঁছেছিল। উত্তরের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়।
এ বৈঠক কয়েক দশক ধরে চলে আসা সংঘাতের অবসান ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকের কিছুদিন আগেই কিম জং উন বলেন, উত্তর কোরিয়া দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করবে।