সৌদি আরবে মার্স ভাইরাসের প্রকোপ, মৃত ১৯
সৌদি আরবে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রম (মার্স) ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল ও আজ দুদিনে মিলিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ১৯ জন হলো। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে তারা মার্স ভাইরাস নিয়ে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হজ মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী মাসে হজ করতে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২০ লাখ মুসলিম সৌদি আরবে যাবেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে হাজিদের দেশটিতে যাওয়া শুরু হয়েছে।
গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের একটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীরা মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া মক্কায় আরেকটি হাসপাতালের কর্মীদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।
২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম মার্স ভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও এশিয়ার কয়েকটি দেশে মার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। মার্স ভাইরাসে ফুসফুসে প্রদাহ হয়। এর লক্ষণ হলো জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট। অসুখটি হাঁচি বা কাশিতে ছড়াতে পারে।
এ ভাইরাস কোথা থেকে মানবদেহে প্রবেশ করেছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। তবে ধারণা করা হয়, উট থেকে মানবদেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটছে। উট থেকে মানুষে ছড়ানো এই অসুখটি এখন মানুষ থেকে মানুষেও ছড়ায়। এবার তাই উট কোরবানি নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ সালে সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে অন্তত ৫১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উট থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ
সৌদি আরবে মার্স ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নাগরিকদের উটের কাছাকাছি যাওয়ার সময় মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে সরকার। গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া উটের কাছে না যাওয়া এবং সেখানে গেলেও পরে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া, উটের দুধ ও মাংস সঠিক তাপমাত্রায় সিদ্ধ করে খাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।