গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮
গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ জন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে দুই হাজার ৭০০ জন।
গতকাল সোমবার গাজায় বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এদিনই জেরুজালেমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানান্তর করা হয়।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল ইসরায়েলের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও তাঁর স্বামী জেরার্ড কুশনার।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা উপেক্ষা করেই জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল সকালেই অবরুদ্ধ গাজায় জড়ো হয় সাড়ে তিন হাজার বিক্ষোভকারী। প্রতিবাদ শুরু হয় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে আর ঢিল ছুড়ে। এরপর প্রতিবাদকারী হাজারো নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীর ওপর গাজার আকাশ থেকে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা হয়। কাঁটাতারের বেড়ার ওপার থেকে ইসরায়েলি সেনারা ছুড়তে থাকে গুলি। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ইসরায়েলের সেনাদের ছোড়া টিয়ার শেল আকাশ থেকে পড়তে থাকে বৃষ্টির মতো। আর এ ঘটনায় হাজারো বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনি গুলি আর টিয়ার শেলের আঘাতে হতাহতের শিকার হয়। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এদিনের বিক্ষোভে অনেক বেশি ফিলিস্তিনি অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীর, বেথলেহেমেও বিক্ষোভ করেছে হাজারো ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তির দিন, যা ফিলিস্তিনে পালন করা হয় নাকাবা বা বিপর্যয়ের দিন হিসেবে, এমন দিনে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু করা নিয়ে ইসরায়েল উৎসবের ঘোষণা দেয়।