আলোড়ন সৃষ্টি করছে যে ভিডিওচিত্র
১১ বছর বয়সী হাতভাঙা এক ফিলিস্তিনি বালককে পেছন থেকে জাপটে ধরে অস্ত্রের মুখে আটকের চেষ্টা করছে এক ইসরায়েলি সৈন্য। বালকটিকে রক্ষায় কয়েকজন নারী ঝাঁপিয়ে পড়েন। অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হন ওই সৈন্য। এই ঘটনার ভিডিওচিত্র গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। এ পর্যন্ত ৩০ লাখ মানুষ এই ভিডিওচিত্র দেখে মন্তব্য করেছেন।
পশ্চিম তীরে নাবি সালেহ গ্রামে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার বিক্ষোভের সময় এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করেন বালকটির বাবা বাসিম তামিমি। সেই ভিডিওচিত্র থেকে সাতটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
এই পরিবার নিয়মিতভাবে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনবিরোধী বিক্ষোভের ভিডিওচিত্র ধারণ করে একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট করে নাবি সালেহের সংহতির আহ্বান করে আসছিল।
সিএনএনকে বাসিম তামিমি বলেন, নিজের ছেলে বা মেয়ের ওপর সহিংস হামলার দৃশ্য দেখা একজন বাবা বা মায়ের পক্ষে খুবই বেদনাদায়ক।
ভিডিওতে ভাইকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বাসিমের মেয়ে আ’হেদকে ওই ইসরায়েলি সেনার ডান হাতে কামড়ে দিতে দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই ভিডিওচিত্র দেখে গত রোববার পর্যন্ত ৩০ লাখ লোক মন্তব্য করেছেন। এর আগে অনলাইনে পোস্ট হওয়া ভিডিওচিত্র গুলোতেও আ’হেদকে দেখা গেছে। দুই বছর আগে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আ’হেদ এক ইসরায়েলি সৈন্যকে ঘুষি দেখাচ্ছে।
বাসিম বলেন, তাঁর কাছে সংঘর্ষের এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের নির্যাতনের সব তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সমবেতরা সৈন্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সিএনএনকে বলেছেন, ‘সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার সময় একটি ফিলিস্তিনি বালককে আটকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি এড়ানোর জন্য ওই কমান্ডার আটক করা থেকে বিরত থাকে।’
বাসিম বলেন, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে তাঁর ছেলেকে মুক্ত করার জন্য ওই সৈন্যের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ভিডিওতেও তা দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলে বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরে নাবি সালেহের অধিবাসীরা বিক্ষোভ করছে।
ফিলিস্তিনি যুবকরা ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারলে এবং সৈন্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়লে অনেক সময় এই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়।