ট্রাম্প-কিমের খাবার তালিকায় যা ছিল
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের কাপেলা হোটেলে ঐতিহাসিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর দুই দেশের নেতা ও প্রতিনিধিরা দুপুরকালীন এক ভোজে অংশ নেন।
বৈঠক-পরবর্তী এই দুপুরের ভোজ উপলক্ষে নয় পদবিশিষ্ট একটি খাবারের তালিকার কথা হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে। সংবাদ মাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমস এসব তথ্য জানিয়েছে।
দুই দেশের প্রতিনিধিদের জন্য প্রস্তুত খাবারের তালিকায় আছে—অ্যাভোকাডো সালাদের সঙ্গে চিংড়ি, অক্টোপাস, মধু আর লেবুমিশ্রিত বিখ্যাত মালয় কাঁচা আমের সালাদ, ভাঁপানো শসা দিয়ে প্রস্তুত কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘অইজো’।
ছোট্ট এই তালিকা মোটেই মূল খাবারের অংশ নয়, মূল পর্বে ঢোকার আগে এটাকে ভূমিকা বলা যায়।
মূল তালিকায় পশ্চিমদেশীয় খাবার হিসেবে আছে—গরুর মাংসের কনফিট, ভাঁপানো ব্রকোলি, দুধে চোবানো আলুর ‘দফিনোয়া’, রেড ওয়াইন। আর এশীয় খাবার হিসেবে প্রথমেই আছে ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে টক-মিষ্টি স্বাদের শূয়োরের মাংস, জনপ্রিয় কোরীয় খাবার সয়ামিশ্রিত পোড়ানো কডফিস, ঘরে বানানো ‘জো’ মরিচের সস ও নানান পদের এশীয় সবজি।
এই খাদ্য তালিকায় ডেজার্ট হিসেবে আছে ডার্ক চকলেট, চেরিমিশ্রিত ভ্যানিলা আইসক্রিম, ক্রিম দেওয়া প্যাস্ট্রি।
প্রস্তুতকৃত খাবারের তালিকাটিতে মার্কিন খাবারের অন্তর্ভুক্তি তুলনামূলক কম। ফ্রেঞ্চ, চায়নিজ ও কোরিয়ান খাবারই মূলত এতে স্থান পেয়েছে।
বিশ্বখ্যাত রেস্তোরাঁ ওয়াইল্ড রকেটের রাঁধুনি উইলিয়ান লো বলেন, দুই নেতার জন্য প্রস্তুত খাবারের এই তালিকাটি কৌশল ও বুদ্ধিমত্তার সাথেই করা হয়েছে। এতে নিশ্চিত করা হয়েছে প্রাচ্য আর প্রতীচ্যের দুই রকম সংস্কৃতির খাবারের সমন্বয়, যাতে করে খেতে বসে অন্য রীতির খাবারে অনভ্যাসবশত কাউকে বিব্রত হতে না হয়।