অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র!
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের কারণে উদ্বাস্তু হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এদের অনেকেই ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী। অভিবাসী গ্রহণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আহ্বান সত্ত্বেও এক জার্মানি ছাড়া ইউরোপের প্রায় সব দেশই অভিবাসী নেওয়ায় অনাগ্রহী। এমন অবস্থায় ইতালি বা গ্রিসের কোনো দ্বীপ কিনে অভিবাসীদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে মিসরের এক ধনকুবের। এমন অস্বাভাবিক প্রস্তাব এরই মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।
মিসরের টেলিভিশন চ্যানেল ব্যবসায়ী নাগিব সাওরিস এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘গ্রিস বা ইতালি আমার কাছে একটি দ্বীপ বিক্রি করতে পারে। আমি একে স্বাধীন ঘোষণা করব এবং ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেব। আর অভিবাসনপ্রত্যাশীরাই তাঁদের দেশ গড়ে তুলবে।
নাগিব সাওরিস জানান, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয়ের লক্ষ্যে দ্বীপ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য রোম ও এথেন্সে প্রস্তাব দিতে তৈরি আছেন তিনি।
মিসরের এই ধনকুবের বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গ্রিস ও ইতালির অনেক জনশূন্য দ্বীপ আছে যেখানে লক্ষাধিক উদ্বাস্তুর আশ্রয় হতে পারে।
পরিকল্পনাকে ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ বললেও এর পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কেও ভালো অবগত নাগিব সাওরিস। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে কোনো দেশের নিয়ম-নীতির পরিবর্তন করতে হবে।
নাগিব সাওরিস বলেন, একটি দ্বীপ কিনতে এক থেকে ১০ কোটি মার্কিন ডলার লাগবে। তবে দ্বীপকে অভিবাসীদের বাসযোগ্য করা এবং অবকাঠামো গড়ে তোলায় আরো খরচ হবে। তিনি বলেন, শুরুতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। পরে বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজে দ্বীপে আসা অভিবাসীদেরই নিযুক্ত করা হবে। আর অবস্থা স্বাভাবিক হলে ও অভিবাসীরা চাইলে নিজের দেশে ফিরে যেতে পারবে।
ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংকটে গ্রিস ও ইতালির নীতির তীব্র সমালোচনা করেন নাগিব সাওরিস। দেশ দুটির সাগরতীরে অভিবাসী পৌঁছানোর পর তাঁদের প্রতি ‘প্রাণীর পাল’-এর মতো আচরণ করা হয়। নতুন দ্বীপরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ‘মানুষ’ হিসেবে দেখা হবে।
নাগিব সাওরিসের প্রস্তাব নিয়ে গ্রিস বা ইতালির কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি বেশ ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। অনেকে এই উদ্যোগে সহায়তা করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ক্যাপশন
ইতালি বা গ্রিসের কোনো দ্বীপ কিনে অভিবাসীদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে মিসরের এক ধনকুবের। ছবি : রয়টার্স