অভিবাসীর স্রোত এখন জার্মানির দিকে
ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীদের স্রোত এখন জার্মানির দিকে। আজ রোববার সারাদিনে হাঙ্গেরি থেকে জার্মানিতে প্রায় ১০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী গিয়ে পৌঁছেছে। আরো অনেক আশ্রয়প্রত্যাশী আছে দেশটিতে ঢোকার অপেক্ষায়।
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) প্রায় সবগুলো দেশ যখন অসহায় মানুষগুলোর ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন প্রতিকূলতার স্রোতে দাঁড়িয়ে মানবতার কথা শুনিয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মার্কেল।
গত শুক্রবার অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় জার্মানি ও অস্ট্রিয়া। শনিবার দেশ দুটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, যথাক্রমে সাত হাজার ও ১০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে আশ্রয় দেওয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে সীমান্ত খুলে দেয় হাঙ্গেরি। দেশ দুটিই বলেছে, মানবিক সংকট সামাল দিতে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
আজ সকালের মধ্যেই মিউনিখে পৌঁছায় কয়েকটি ট্রেন। জার্মানির অন্যান্য শহরেও যাত্রা করেছে বহু অভিবাসন প্রত্যাশী। আশ্রয়হীন এসব অভিবাসীকে স্বাগত জানাতে শনিবার থেকেই ইংরেজি ও আরবিতে লেখা বোর্ড ঝুলানো হয় বাস ও রেল স্টেশনে। তাদের শুধু স্বাগত জানিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি কর্তৃপক্ষ। তাদের জন্য গরম কফি, খাবার ও বাচ্চাদের জন্য খেলনার ব্যবস্থাও করা হয় তাৎক্ষণিকভাবে।
এ ছাড়া হাঙ্গেরির অস্ট্রিয়া সীমান্ত থেকে ভিয়েনায় শত শত অভিবাসীকে নিয়ে যাচ্ছে আরো ট্রেন। অনেকে অপেক্ষা করেছেন রেলস্টেশনেই। স্টেশনে লাইনের ওপরও ঘুমিয়ে পড়তে দেখা গেছে অনেককে।
এদিকে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, প্রতিটি ক্যাথলিক সম্প্রদায়েরই উচিত একটি করে অভিবাসন প্রত্যাশী পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া।