কম্বোডিয়ায় বিরোধী দল ছাড়া ভোট, জয় দাবি ক্ষমতাসীনদের
কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচনে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই বিপুল ভোটে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) জয়লাভ করেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেস্কিউ পার্টি (সিএনআরপি)।
গতকাল রোববার দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন শেষে এ দাবি জানায় ১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়ার শাসন ক্ষমতায় থাকা হুন সেনের দল সিপিপি।
সিপিপির মতে, প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পাওয়া দলটি পার্লামেন্টে ১২৫টি আসনের মধ্যে অন্তত ১০০টি আসন লাভ করতে যাচ্ছে।
নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মীদের মতে, এ নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ৮২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
গত বছর স্থানীয় নির্বাচনে সিপিপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোট পায় সিএনআরপি। কিন্তু পরে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করায় দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে প্রভাবিত করে সিএনআরপিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে হুন সেন সরকার। সমালোচকরা সিএনআরপিকে জাতীয় নির্বাচনে শামিল হতে না দেওয়ার এ ঘটনায় হুন সেন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে একই প্রশ্ন করেছে। কিন্তু অন্য আরো ১৯টি দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় সিপিপি একে যথার্থ দাবি করেছে।
সাধারণ এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বাইরে নির্বাসনে থাকা সিএনআরপির নেতা স্যাম রেনসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সিপিপির উদ্দেশে করা এক পোস্টে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া কোনো বিজয় আসলে ফাঁপা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
স্যাম আরো বলেন, ‘ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে অনুষ্ঠিত এই মিথ্যা নির্বাচনের ফলাফল মূলত জনগণের চাওয়ার বিরুদ্ধে এক বিশ্বাসঘাতকতা।’
আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে সরকারিভাবে এ নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা যায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কম্বোডিয়া সরকার গত শুক্রবার ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও ফ্রি এশিয়া, ভয়েস অব ডেমোক্রেসিসহ আর বেশ কিছু স্বাধীন সংবাদমাধ্যম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
তবে কিছুদিন পূর্বে কম্বোডিয়ার সামরিক খাতে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রদানকারী চীন এ নির্বাচনে নিজেদের পর্যবেক্ষক পাঠায় বলে জানা গেছে।