জিম্বাবুয়ের নির্বাচনে এমারসন নানগাগবার জয়
জিম্বাবুয়ের পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল জানু-পিএফের নেতা এমারসন নানগাগবা।
দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১০টি প্রদেশের ফল ঘোষণা শেষে নানগাগবার দল জানু-পিএফ ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ও প্রধান বিরোধী দল নেলসন চামিসার মুভমেন্ট অব ডেমোক্রেটিক চেঞ্জ (ডিএমসি) পেয়েছে ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট।
বিরোধী দল এ ফল প্রত্যাখ্যান করায় নির্বাচন কমিশন থেকে পুলিশ বিরোধীদলীয় কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়।
এমডিসি জোটের চেয়ারম্যান ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে বলেছেন, কার কত ভোট, তা যাচাই করার সুযোগ নেই।
ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নাগগাগবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করা এক বার্তায় কৃতজ্ঞতা জানান এবং এই ফলাফলকে নতুন দিনের শুরু হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
গত বছর নভেম্বরে এক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জানু-পিএফের সাবেক নেতা রবার্ট মুগাবে অপসারিত হওয়ার পর থেকেই দলটির নেতা ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন নানগাগবা।
এদিকে, এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মূলত এমডিসির নেতা চামিসা জয়লাভ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এমন দাবি করে চামিসা বলেন, ‘জানু-পিএফ নির্বাচনী ফলাফলে জালিয়াতির চেষ্টা করছে, যা আমরা মেনে নেবো না।’
যদিও দেশটির নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটে কোনো কারচুপি ছিল না।
এর আগে বুধবার ভোটে কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় রাজধানী হারারেতে ছয়জন নিহত হন। নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও ফল ঘোষণার বিলম্বের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহল প্রশ্ন তুলেছে।
জিম্বাবুয়ের সাবেক নেতা মুগাবের পীড়নমূলক শাসনকালের অবসানের পর দেশটিকে নতুন পথে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে এ নির্বাচন তাৎপর্যপূর্ণ।