সৌদি আরবে এক লাখ সিরীয়কে ‘থাকার অনুমতি’
সিরীয় শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় সৌদি পদক্ষেপ সংক্রান্ত ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ খবরের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সৌদি আরব বলেছে, তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার এক লাখ লোককে ‘থাকার অনুমতি’ দিয়েছে। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে সৌদি আরব এ তথ্য জানায়।
সম্প্রতি আরব লিগের এক বৈঠকে ধনাঢ্য আরব দেশগুলো প্রায় ৪০ লাখ দেশান্তরী সিরীয়র জন্য কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এমন প্রশ্ন ওঠার পর সৌদি আরব এ বিবৃতি দিল। এর আগে গত বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতও এ ধরনের একটি আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বিবৃতি দিয়েছিল।
এদিকে জার্মানি একাই সিরিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে আট লাখ আশ্রয়প্রার্থী গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জার্মানি ছাড়া জর্ডান, লেবানন ও তুরস্কে বহুসংখ্যক সিরীয় আশ্রয় নিচ্ছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সৌদি বার্তা সংস্থা (এসপিএ) জানায়, সৌদি আরব চার বছর আগে শুরু হওয়া যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আত্মপ্রচার বা বড়াই করতে চায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তবে সংবাদমাধ্যমের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর খবরের জবাবে দেশটি এসব পদক্ষেপের ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছে।’
সৌদি কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সৌদি আরব অসহায় মানুষগুলোকে শরণার্থী হিসেবে দেখেনি বরং সৌদি আরবে থাকতে ইচ্ছুক এমন এক লাখ সিরীয়কে ‘থাকার অনুমতি’ দিয়েছে।’
এই কর্মকর্তা জানান, এই অনুমতিপ্রাপ্তরা ২০১২ সালে জারি করা এক শাহি ফরমান অনুযায়ী বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন এবং তাদের কর্মসংস্থানও করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদি আরব জর্ডান, লেবানন ও অন্যান্য দেশে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ে মাধ্যমে লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে সহায়তা দিয়েছে এবং এ পর্যন্ত মোট ৭০ কোটি মার্কিন ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
সৌদি কমকর্তা বলেন, ‘সৌদি আরবের নতুন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল-আজিজ আল সউদ আশ্রয়হীনদের সমস্যার ওপর দৃষ্টি রাখছেন এবং তিনি মানবিকতার দৃষ্টিতে আশ্রয়হীন মানুষদের সাহায্য করতে প্রস্তুত।’