আল-আকসা মসজিদ চত্বরে সংঘর্ষ
ইসরায়েলের পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ রোববার দুপুরে ইহুদি বছর শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মসজিদ চত্বরে এই সংঘর্ষ দেখা দেয়। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক হয়ে এসেছে বলে দাবি ইসরায়েলের।
বিবিসি জানিয়েছে, আজ রোববার দুপুরে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশ প্রবেশ করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইসরায়েলি পুলিশের ভাষ্য ‘দাঙ্গা দমন’ করতেই তারা চত্বরে প্রবেশ করেছিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও স্ট্যান গ্রেনেড ছোড়ে। আর পুলিশের ওপর পাথর ও আতশবাজি ছোড়ে ফিলিস্তিনিরা।
ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টে দাবি করা হয়, বিস্ফোরক বহনকারী একদল ফিলিস্তিনির খোঁজে পূর্ব জেরুজালেমে অভিযান চালাচ্ছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। ওই ফিলিস্তিনিরা আল-আকসা চত্বরের ব্যারিকেড পেরিয়ে পূর্ব জেরুজালেমে ঘুরছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
ইসরায়েলের জননিরাপত্তা বিষয়কমন্ত্রী গিলাদ এরদান জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, আল-আকসা মসজিদ চত্বর আবার খুলে দেওয়া হয়েছে।
গত জুলাইয়েও আল-আকসার চত্বরে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছিল। ওই সময় ইরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালুন দুটি মুসলমান গ্রুপকে জেরুজালেমে নিষিদ্ধ করেন। ওই গ্রুপ দুটি ইহুদি দর্শনার্থীদের আল-আকসা মসজিদ চত্বরে যেতে বাধা দিয়েছিল। ইয়ালুনের দাবি, ওই গ্রুপগুলোই আল-আকসায় উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য দায়ী।
আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে যেমন পবিত্র স্থান তেমনি পবিত্র ইহুদিদের কাছেও। একইভাবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছেও জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদ পবিত্র স্থান। আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করেই প্রায়ই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংঘাত দেখা দেয়।