শরণার্থী ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ ইউরোপ
বাধ্যতামূলক কোটা ব্যবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মন্ত্রীরা সর্বসম্মতিক্রমে একমত হতে পারেননি। গতকাল সোমবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউভুক্ত দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। urgentPhoto
গ্রিস ও ইতালিতে আশ্রয় নেওয়া ৪০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন মন্ত্রীরা।
বিভক্ত মতামত বেরিয়ে আসায় বৈঠক রাত পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জাঁ-ক্লদ জাংকার আরো এক লাখ ২০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আশ্রয় দিতে নতুন পরিকল্পনা হাজির করেন। তবে ব্রাসেলসের বৈঠক থেকে এ পরিকল্পনা অনুমোদন পাওয়ার তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কারণ, এতে অনুমতি দিলে ইউরোপের সব দেশকেই শরণার্থীদের দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে।
কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নীতিগতভাবে মন্ত্রীরা শরণার্থীদের এই সংখ্যায় অনুমতি দিয়েছেন। তবে কীভাবে এদের ইইউভুক্ত দেশগুলোতে নেওয়া হবে, তা নিয়ে একমত হতে পারেননি। এ বিষয়ে আলোচনা হবে আগামী মাসে। মন্ত্রীরা চূড়ান্ত যৌথ বিবৃতি এখনই প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ইইউর বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুক্সেমবার্গকে নিজের নামে আলোচনার একটি সারসংক্ষেপ প্রকাশের জন্য বলেছেন।
অস্ট্রিয়ার সঙ্গে জার্মানি তার সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি আরোপ করার কয়েক ঘণ্টা পর ইউরোপের অন্য দেশগুলো সীমান্তে পাহারা জোরদার করে। এ মুহূর্তে হাঙ্গেরির সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করা হয়েছে। গত সোমবার হাঙ্গেরির পুলিশ সীমান্ত এলাকায় সার্বিয়া থেকে আসা হাজারো শরণার্থীর স্রোত ঠেকাতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে।
বৈঠকে চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি বাধ্যতামূলক কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নেতৃত্ব পর্যায়ের অবস্থান নেয়।
স্লোভাকিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট কালিনাক বলেন, ‘কোটা ব্যবস্থা কোনো সমাধান নিয়ে আসবে না।’
লুক্সেমবার্গের মন্ত্রী জাঁ আসেলবর্ন বলেন, ‘এ মুহূর্তে সবাই একই কথা ভাবছে না।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে চলে যাচ্ছে অভিবাসনপ্রত্যাশী লাখো মানুষ।