সীমান্ত বন্ধ করে দিল ক্রোয়েশিয়াও
অভিবাসনপ্রত্যাশীর চাপ বাড়তে থাকায় সার্বিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত আটটি সীমান্ত সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, হাঙ্গেরির সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর একদিনে এক হাজারের বেশি শরণার্থী ক্রোয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে।
এরই মধ্যে স্লোভেনিয়া জানিয়েছে, ট্রেনে ভ্রমণ করা একদল শরণার্থীকে তারা আটকেছে এবং এদের ক্রোয়েশিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে।
সিরিয়া-তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বিপুলসংখ্যক শরণার্থী ইউরোপে যাওয়ার কারণে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিভক্তি দেখা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে। এ নিয়ে আলোচনায় বসলেও কোনো ফল হয়নি।
ক্রোয়েশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, সীমান্তের দিকে যাওয়া সড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে সার্বিয়ার বেলগ্রেড ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে মাত্র একটি সড়কপথ চালু আছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এসব সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার ফলে গ্রিস থেকে উত্তর ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
ক্রোয়েশিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করলেও সংখ্যায় অতিরিক্ত হওয়ায় মানুষ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ক্রোয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী র্যানকো অসতোজিচ বলেন, তাঁর দেশ সম্পূর্ণ ভরে গেছে। তিনি শরণার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এখানে আর আসবেন না। সার্বিয়া, মেসিডোনিয়া ও গ্রিসে শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করুন। এই পথ দিয়ে ইউরোপে যাওয়া যাবে না। বাস সেখানে যেতে পারবে না। এটা একটা মিথ্যা কথা।’ দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোরান মিলানোভিচ বলেন, তাঁর দেশের সামর্থ্য কম।
গতকাল বৃহস্পতিবার হাঙ্গেরির সীমান্ত শরণার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছুড়ে মারে পুলিশ। এতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন উদ্বেগ জানান এবং নিন্দা প্রকাশ করেন।